ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চলের মেকেলে এলাকায় শিশুদের খেলার মাঠে বিমান হামলায় অন্তত সাত জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে তাইগ্রের রাজধানী মেকেলে এ বিমান হামলা চালানো হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাইগ্রে ও আমহারা সীমান্তে ইথিওপিয়ান সরকার ও তাইগ্রেয়ান বাহিনীর মধ্যে প্রায় চার মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার দুদিন পরেই এ হামলার ঘটনা ঘটল।
স্থানীয়রা হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চার মাস ধরে যুদ্ধবিরতি চলার পর প্রথম হামলার ঘটনা এটি। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। তবে ফেডারেল সরকারের মুখপাত্র বিমান হামলায় বেসামরিক নিহতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Google News Channel24 অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
স্থানীয় সরকারি কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত তাইগ্রে টেলিভিশন জানিয়েছে, হামলার পেছনে রয়েছে ফেডারেল সরকার। ইথিওপিয়ার আকাশসীমায় অন্য কোনো সামরিক বিমান চলাচল করে না।
আইদের হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কিবরম এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, হাসপাতালে চারজনের মরদেহ রয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনই শিশু। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৯ জন।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের খেলার স্থানে বিমান হামলাটি চালানো হয়েছে। যদিও ওই ব্যক্তির টুইটার একাউন্ট স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। হামলার স্থানের পাশে সামরিক কোনো স্থাপনা রয়েছে কি না, সেটাও জানা যায়নি।
ফেডারেল সরকারের মুখপাত্র লেজেসি তুলু জানান, বেসামরিক নাগরিক হতাহতের অভিযোগ মিথ্যা এবং এটা পুরোটাই সাজানো নাটক। বেসামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি আরো বলেছেন, তারা কেবল সামরিক স্থাপনা টার্গেট করেছেন।
ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ ছাড়া ১৯৯১ সালে টিপিএলএফের নেতৃত্বে ইথিওপিয়া থেকে সামরিক সরকার উৎখাত করা হয়।
এরপর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আবি আহমেদ ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগপর্যন্ত দেশটির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল এই গোষ্ঠীর হাতে। ২০২০ সাল থেকে ইথিওপিয়ার ফেডারেল সেনাবাহিনী এবং টিপিএলএফ-এর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।
২০২১ সালের জুনে তাইগ্রে অঞ্চলের বড় একটি অংশ ফের দখলে নেয় টিপিএলএফ। সেখান থেকে ইথিওপিয়ার সেনাদের প্রত্যাহারও করা হয়। পরে ওই অঞ্চলে আবারও অভিযান শুরু করে সরকারি বাহিনী।