লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা শেষ দুই বছরে যেমন ফর্মে আছে তাতে যে দলটা বিশ্বকাপে যাবে হট ফেভারিট হয়েই, তা বলাই বাহুল্য। তার ছাপ পড়ছে কাতার বিশ্বকাপের টিকিটের চাহিদাতেও। বিশ্বকাপের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি আলবিসেলেস্তেদের দুই ম্যাচের, জানালেন প্রধান আয়োজক।
আর্জেন্টিনা নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নামবে আগামী ২৬ নভেম্বর। সেদিন মেসিদের প্রতিপক্ষ হবে কনকাকাফ অঞ্চলের দল মেক্সিকো। সেই ম্যাচ নিয়ে টিকিট প্রত্যাশীদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
এরপর সবচেয়ে বেশি চাহিদাটাও আর্জেন্টিনার একটা ম্যাচ নিয়েই। ২২ নভেম্বর সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবেন মেসিরা। সেই ম্যাচের টিকিটের চাহিদা আছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, জানিয়েছেন কাতার আয়োজক কমিটির প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা নাসের আল খাতের।
দুটো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ৮০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আল লুসাইল স্টেডিয়ামে। এই মাঠেই ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ফাইনালও।
কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির এই কর্মকর্তা অবশ্য জানাননি কত সংখ্যক লোক এই দুই ম্যাচের টিকিট চাইছেন। তবে বছরের শুরুতে অনলাইন বিক্রি যখন শুরু হয়, তখনই আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচের টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছিল।
ফিফা চলতি মাসে জানিয়েছে, বিশ্বকাপের ২৪ লাখ ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। আল খাতেরের আশা, মরুর দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপ দারুণ একটা উৎসবেই পরিণত হতে চলেছে।
বিশ্বকাপের জন্য টিকিট বিক্রি হবে ৩২ লাখ। যার প্রায় ১০ লাখ টিকিট যাচ্ছে পৃষ্ঠপোষক ও ফিফা পার্টনারদের কাছে।
আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচের চাহিদা বেশি হওয়ারই কথা। কারণ টিকিট কেনার দিক থেকে এগিয়ে আছে এই দুই দেশের দর্শকই। টিকিট বিক্রির চাহিদায় শীর্ষ দশ দেশের বাকি দেশগুলো হলো, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্স, ব্রাজিল আর জার্মানি।
কাতার জানিয়েছে বিশ্বকাপের জন্য তারা ১২ লাখেরও বেশি পর্যটক আশা করছে। ৩২ দলের সর্বশেষ এই বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে আগামী ২০ নভেম্বর।