ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় চ্যাপলিন শহরে একটি রেল স্টেশনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রুশ অভিযানের ছয় মাস পূর্তির দিন বুধবার এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের মাঝখানে এই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
এই হামলার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া। তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে কোনো বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দানিপ্রো ও দোনেতস্কের মাঝে চ্যাপলিনে হামলার বিষয়টি জানতে পেরেছেন তিনি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কথা বলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়েই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, এভাবেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের প্রস্তুতি নিল রাশিয়া।
তিনি আরও দাবি করেন, ট্রেনের পাঁচটি বগিতে আগুন লেগে যায়। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানোর ঘোষণা দেয়। মস্কো ঘোষণা করে, এই সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয় বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে।
তবে ইউরোপীয় ও মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো রাশিয়ার এ ঘোষণার একাংশ প্রকাশ করে জানায়, কিয়েভের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে মস্কো। এরপর রাশিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে পশ্চিমা দেশগুলো।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেতস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে রাশিয়া।