ওষুধের দাম বাড়াতে আবারও ‘তোড়জোড়’

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


সরকার নিয়ন্ত্রিত ১১৭টির বাইরের ওষুধের দাম বাড়াতে ‘তোড়জোড়’ শুরু করেছে ওষুধ কোম্পানিগুলো / ফাইল ছবি

>> দাম বৃদ্ধির ‘উত্তাপ’ পাচ্ছেন ওষুধ বিক্রেতারা
>> বাজারে ওষুধের সরবরাহ কম, স্টক হচ্ছে মিটফোর্ডে
>> সরকারের খুব বেশি তদারকি না থাকার অভিযোগ
>> দাম বাড়তি স্কয়ার-বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের
>> মৌন সম্মতি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের

চাল, ডাল, তেলসহ বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। এ অবস্থায় মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় আবারও ওষুধের দাম বাড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে। জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলোর চাপে অনেকটা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের দাম আবার বাড়ানো হলে এটি হবে সাধারণ মানুষের জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রায় দেড় হাজার জেনেরিকের (শ্রেণিগত বা জাতীয়) ২৭ হাজারেরও বেশি ব্র্যান্ডের ওষুধ তৈরি হয়। এগুলোর মধ্যে কেবল ১১৭টি ওষুধের মূল্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর বাইরে যে ওষুধ রয়েছে, সেগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে ওষুধ কোম্পানিগুলো।

দেশে প্রায় দেড় হাজার জেনেরিকের (শ্রেণিগত বা জাতীয়) ২৭ হাজারেরও বেশি ব্র্যান্ডের ওষুধ তৈরি হয়। এগুলোর মধ্যে কেবল ১১৭টি ওষুধের মূল্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর বাইরে যে ওষুধ রয়েছে, সেগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে ওষুধ কোম্পানিগুলো
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন-সাপেক্ষে মূল্য নির্ধারণ হলেও এটি করার সময় সেখানে উপস্থিত থাকেন ফার্মেসি ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসেনশিয়াল ড্রাগের (জীবনরক্ষাকারী ওষুধ) তালিকায় যেগুলো আছে, সেগুলোর তুলনায় তালিকায় নেই এমন ওষুধের বিক্রি বেশি। কিন্তু ওই তালিকা আর বড় হয় না। এদিকে, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের তালিকা না বাড়ার সুযোগ নিয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো দাম নিয়ন্ত্রণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *