বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি আশা করছি।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য সামনে হতে যাওয়া বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায়। এর জন্য প্রয়োজনে দুইটি মূল দলসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করা যেতে পারে।
সোমবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ও জার্মানিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রেডরিক এবার্ট স্টিফটিং এর আয়োজনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনার বলেন, ভোট আয়োজন, গণনা ও ফলাফল প্রকাশে স্বচ্ছতা থাকা উচিৎ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতার জন্য ভালো নির্বাচন দরকার। নির্বাচিত কারা হবে অবশ্যই তা দেশের জনগণ ঠিক করবে। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে পর্যবেক্ষক বা অন্যান্য বিষয়ে যুক্তরাজ্য কেবল সহায়তা করতে পারে।
প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়াতে ব্রিটিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে তাদের শিক্ষা ব্যবসা বাড়াতে আগ্রহী বলে মন্তব্য করে ডিকসন বলেন, আমরা আশা করছি বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া দেবে।
আগামী সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে অন্তত ২ লাখ কনজারভেটিভ সদস্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী যেই হোক, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আগের মতোই শক্তিশালী থাকবে।
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে চ্যাটারটন বলেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাজ্য।