পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার হতে পারেন। বেআইনি অর্থায়ন মামলার বিষয়ে গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজিরা না দেওয়ায় তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানা গেছে।
আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় গত শুক্রবার ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দ্বিতীয় নোটিশ পাঠায় এফআইএ। কিন্তু ওই নোটিশের কোনো জবাব দেননি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। শুধু তা-ই নয়, গত ১০ অগস্ট প্রথম নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরাও দেননি ইমরান। এরপর তদন্তকারী সংস্থার তরফে তিন নম্বর নোটিশ পাঠানো হবে। তার জবাব না দিলে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এফআইএ।
যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন, বেলজিয়ামে পাঁচটি সংস্থার হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তারা জানতে পেরেছেন যে, ওই পাঁচ সংস্থা থেকে ইমরানের দলে অর্থ সরবরাহ করা হয়েছিল, যা পাক নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি।
চলতি মাসের শুরুতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, ইমরানের পিটিআই বেআইনি ভাবে ৩৪ জন বিদেশি নাগরিকের থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী। এই মামলায় ইমরানের দলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছিল কমিশনের তিন সদস্যের বেঞ্চ। ইমরান ও তার দলের থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
এফআইএ’র নোটিশ প্রত্যাহার করতে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেছেন, ‘আমি উত্তর দিতে বাধ্য নই। কোনো তথ্য পেশ করতেও বাধ্য নই। দুদিনের মধ্যে নোটিশ যদি প্রত্যাহার না করা হয়, তা হলে আইনি পদক্ষেপ করব।’