কুমিল্লায় ডেকে নিয়ে শাহাদাত হোসেন (১৭) নামে এক কিশোরকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) রাত ৯টার পর শাহাদাতের মা সাহেনা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৩০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত র্যাব ও পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি কিশোর গ্যাং ‘রতন গ্রুপ’ মো. রতনসহ (১৮) মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়েছে। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা নগর উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয় এবং সেইসঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। এর পর অপরাধীদের আটক করতে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ওসি বলেন, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১২ জনকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাচাই করে। রাতে নিহতের মা সাহেনা বেগম মামলা দায়ের করলে ৯ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
অন্যদিকে, কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর মিডিয়া সেল থেকে শনিবার রাত ১১টার দিকে জানানো হয়, শাহাদাত হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মো. রতনসহ প্রধান ৫ আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে রোববার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টায় নগরীর শাকতলা র্যাব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হবে। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর সংলগ্ন নগর উদ্যান থেকে কিশোর শাহাদাত হোসেনকে ডেকে বাইরে আনে একদল কিশোর। পরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই দলবদ্ধভাবে সড়কের পাশে তাকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করতে থাকে তারা। এতে শাহাদাত মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয়রা শাহাদাতকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সন্ধ্যার পর থেকে কুমিল্লা নগরীতে থমথমে অবস্থা তৈরি হয়। নিহত শাহাদাত কুমিল্লা মহানগরীর পুরাতন চৌধুরীপাড়া হোমিও কলেজ সংলগ্ন শাহ আলম ভূঁইয়ার ছেলে।