চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ রোডের ভূঁইয়া হোয়াইট হাউজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তারা হলেন- মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৩ নম্বর খাদেরগাঁও ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের অলিউল্ল্যাহ ব্যাপারীর ছেলে মো. লিটন ব্যাপারী (৩৬) ও একই ইউনিয়নের গোয়ালগাভা গ্রামের আলী আরশাদের ছেলে মো. রাসেল (২৮)।
এ বিষয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কের মালিক মো. আবুল বাসার বলেন, সকালে নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়। সকাল ৮টার দিকে তারা সাটারিং খুলতে ভেতরে ঢুকে। পরে সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে দেখি ট্যাঙ্কের ভেতর অসচেতন অবস্থায় তারা পড়ে আছেন। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মতলব দক্ষিন বাড়িগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আবুল বাশার তার নিজের জায়গায় একটি ভবন নির্র্মাণের কাজ শুরু করেন। প্রথমেই সেপটিক ট্যাঙ্কের কাজ শুরু করেন। সেখানে রাসেলকে রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং লিটনকে শ্রমিক হিসেবে কাজের দায়িত্ব দেন। গত এক মাস আগে সেপটিক ট্যাঙ্কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। শুক্রবার সকাল ৮টায় রাসেল ও লিটন ওই সেপটিক ট্যাঙ্কের সাটারিং খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় সেখানকার বিষাক্ত গ্যাসক্রিয়ায় তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং অল্প সময়েই দম বন্ধ হয়ে মারা যান। আশপাশের লোক ও নির্মাণাধীন ওই বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতরে ওই দুই শ্রমিকের নিথর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের লোকজনকে মুঠোফোনে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান এবং দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, দুপুরে সেপটিক ট্যাঙ্কের সাটারিং খোলার সময় বিষাক্ত গ্যাসে তাদের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।