জুমার দিন যে আমলে ১০ বার রহমত নাজিল হয়

Slider লাইফস্টাইল


জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের ফজিলত অনেক বেশি। ইতিহাসে এই দিন অনেক বড় বড় ঘটনাও ঘটেছে। এই দিনের কিছুর আমল অনেক সওয়াব ও ফজিলতের। তন্মধ্যে দরুদ শরিফ পাঠ অন্যতম।

শুক্রবার তথা জুমার দিন দরুদ পাঠের রয়েছে বিশেষ ফজিলত। আওস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, একটি হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই জুমার দিন শ্রেষ্ঠতম দিনগুলোর অন্যতম। সুতরাং সেদিন তোমরা আমার ওপর বেশি বেশি দরূদ পড়। নিশ্চয় তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৬১৬২; সহিহ ইবনে হিববান, হাদিস : ৯১০, হাদিসটি সহিহ)

অন্য হাদিসে আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জুমার রাত ও জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ কর। যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করেন। (আসসুনানুল কুবরা, বায়হাকি : ৩/২৪৯; ফাযাইলুল আওকাত, বায়হাকি : ২৭৭; আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, ইবনুস সুন্নি : ৩৭৯, এর সনদ হাসান পর্যায়ের)

‘অন্য আরেক হাদিসে আছে, ‘প্রত্যেক জুমার দিনে তোমরা আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ কর। কারণ আমার উম্মতের দরুদ প্রতি জুমার দিন আমার কাছে পেশ করা হয়। আর তাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচে বেশি দরুদ পাঠ করে সে অন্যদের তুলায় আমার বেশি নিকটবর্তী। (সুনানে বায়হাকি : ৩/২৪৯ সনদটি হাসান)।

সালাতের মধ্যে দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। দরুদে ইব্রাহিম বেশ ফজিলতপূর্ণ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে এই দরুদ পড়া হয়। সালাত ছাড়াও অন্যান্য যেকোনো সময় এই দরুদ শরিফ পাঠে রয়েছে মুস্তাহাব সাওয়াব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *