দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলকে ৪৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এতে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে সফরকারীরা।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল টাইগাররা
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ ইউকেট হারিয়ে ২৭৭ রান সংগ্রহ করে নাঈম শেখ-সাব্বির রহমানরা। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
সেন্ট লুসিয়ায় ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকান নাঈম শেখ। ১১৬ বলে তিনি করেন ১০৩ রান। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন নাঈম। আগের ম্যাচে ১৫ রান করা সৌম্য এদিন আউট হন মাত্র ৬ রানে। সৌম্য আউট হওয়ার পর ১৯ রানের এক ইনিংস আসে সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে। তাকে ফেরান ব্রায়ান চার্লজ।
দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে লম্বা ইনিংস খেলেন নাঈম। হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে চলে যান তিনি। সেঞ্চুরি পূর্ণও করেন ওপেনিংয়ে নামা এ ক্রিকেটার। কিন্তু আর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি তিনি। আউট হন ১০৩ রানের মাথায়।
নাঈম শেখ ফিরে গেলে দলপতি মোহাম্মদ মিঠুন ব্রায়ানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেন। স্কোর বোর্ডে দলপতি যোগ করেন ২৮ রান। ৩৩ বলে ২৪ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন শাহাদাত হোসেন দিপু। তবে এক পাশ আগলে রাখেন সাব্বির রহমান। শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ৬২ রান করে ফেরেন তিনি। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ১১ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের আলী অনিক।
২৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নেন তাগেনারাইন চন্দরপল ও জসুয়া দা সিলভা। ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সিলভা। এছাড়া ৬০ বলে ৩৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন চন্দরপুল। ৪৩ বলে ৩১ রান করেন টেডি বিসপ। ব্রায়ান চার্লস ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন।
টাইগারদের হয়ে মুকিদুল ইসলাম নেন তিনটি ইউকেট। এছাড়া, রেজাউর রহমান রেজা ২টি এবং রাকিবুল, খালেদ ও সৌম্য নেন ১টি করে ইউকেট।
এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৮০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বাংলাদেশ হারে ৪ উইকেটে। মিঠুন বাহিনীর দেয়া ৮১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক দল।