মোংলা (বাগেরহাট): ওয়াশরুমে গিয়ে সিগারেট খাওয়ার অপরাধে তিন শ্রমিককে শারিরীক নির্যাতন ও ইলেকট্রিক শক দেওয়ার পর মুচলেকা নিয়ে চাকুরিচ্যুতের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের জীম লাইট গার্মেন্টসে এ ঘটনা ঘটেছে। চাকরিচ্যুত তিনজন হলেন গার্মেন্টসটির অপারেটর ইব্রাহিম জোমাদ্দার, নয়ন হাওলাদার ও সহকারী পলক।
ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাজের ফাঁকে তারা ওয়াশরুমে গিয়ে ধুমপান করেন। ধুমপানের অভিযোগে ফ্যাক্টরির সুপারভাইজার মো. মেহেদী ও লাইনম্যান মো. লিটন তাদেরকে সেখান থেকে ধরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হৃদয় মাহমুদের কাছে নিয়ে যান। এরপর হৃদয় তাদেরকে গালিগালাজের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে তাদের কাছ থেকে চাকরি থেকে অব্যাহতির মুচলেকা রেখে ফ্যাক্টরি থেকে বের করে দেন।
তারা বলেন, দেড় মাস আগে এ কারখানায় চাকরি নিয়েছেন তারা। এর আগে এক মাসের বেতন পেয়েছেন। কিন্তু চাকরিচ্যুত করলেও তাদের বাকি ১৫ দিনের বেতন দেননি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হৃদয়। উল্টো তিনি তাদেরকে ফ্যাক্টরি থেকে বের করে দেওয়ার সময় বলেছেন, ‘কোনো কিছুই দেওয়া হবে না। যেখানে যাবি যা, যা খুশি তাই কর গিয়ে, তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ আমি যুবলীগ নেতা।’
এ ঘটনার বিষয়ে হৃদয় মাহমুদ বলেন, সিগারেট খাওয়ার কারণেই তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এখানে বেপজার কিছু নিয়ম রয়েছে, নিয়ম ভঙ্গের কারণেই এটা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তাদেরকে কোনো ধরনের নির্যাতন কিংবা ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়নি। এটা তারা বানিয়ে বলছে।
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। হৃদয় যদি এমন করে থাকেন অবশ্যই তাকে সতর্ক ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যাদের চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে তারা তাদের বেতন অবশ্যই পাবেন, সেই ব্যবস্থাও করছি।’