গত পহেলা বৈশাখে টিএসসিতে নারীদের উপর যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে করে ‘পাল্টা আঘাত’ নামক সংগঠনের প্রায় ৩০জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবী করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ডিএমপি কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দি (২৪), দিপক (১৯), জিলানী শুভ (২০), নির্জন (২২), হাসান (২৩), রাশেদু ইসলাম , ইসমত জাহান (১৯), তন্ময় (২০) আশিক (২১), রাকিবুজ্জামান (২২), আফরাফ (২২), শাহরিয়ার (২১), রাজিব (২২), আমিত দে (২০), তুহিন কান্তি (২২), রাশেদুল হাসান (২৩), ফারজানা (২২), পার্থ (২৩)। তাদের শরীরে লাটি ও ইটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হসপিটাল থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আল আমিন নয়া দিগন্তকে জানান, পুর্ব ঘোষনা অনুযায়ী আজ সকালে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে প্রায় আড়াইশত নেতা-কর্মী একটি মিছিল নিয়ে মিন্টু রোডের ডিএমপি কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বেলা পৌনে ১ টার দিকে কাকরাইল এলাকা পার হতেই পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। কিন্তু তারা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে ডিএমপি কার্যালয়ের কাছে সামনে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এসময় পুলিশ তাদের বাঁধা দিলে তারা পুলিশকে বলেন ‘ আমরা চলে যাবো। তবে মামলার পরিস্থিতি ও তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনারের মুখ থেকে কিছু শুনতে চাই। তিনি এসে কিছু বলে গেলেই আমরা চলে যাবো’। কিন্তু পুলিশ কোন কথা না শুনে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশের বেধড়ক লাটি-পেটায় মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপরই পুলিশ জল কামানের দিয়ে মিছিলের উপর গরম পানি নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে কমপেক্ষ ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবী করেন। আল আমিন আরো বলেন, সম্পর্ন শান্তিপূর্ণ একটি কর্মসূচীতে পুলিশের এ ধরনের বাঁধা নেক্কারজনক।
এ ব্যাপারে রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, মিছিলকারীদের রাস্তা অবরোধ করতে নিষেধ করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা সেটা না শুনে আইন ভঙ্গ করে রাস্তা অবরোধ করে। জনসাধারনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যার কারনে পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরাতে ব্যবস্থা নেয়। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজল, অনিক রায়, অন্তু চন্দ্রনাথসহ ৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।