জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌছে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর বাবার কবরের সামনে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন শেখ হাসিনা। এসময় তিন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি দল জাতির পিতার প্রতি সশস্ত্র সালাম প্রদর্শন করে। এরপর জাতির পিতাসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যগণ ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বেলা ১টার দিকে বঙ্গবন্ধুসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হবে। দুপুর দেড়টায় তিনি নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাবেন। দুপুর ২টায় তিনি ঢাকার উদ্দেশে হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ঘিরে জেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে শহীদ হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই রাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল। ঘাতকদের বুলেটে আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ খান রিন্টুসহ আরও অনেকে। দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।