কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর জাতীয় পার্টিতে (জাপা) যোগদান নিয়ে গত দুইদিন ধরে গুঞ্জন চলছে। এর আগে বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সাক্কু। পরে জাপার চেয়ারম্যান কার্যালয়ে সাক্কুর একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মূলত এর পর থেকেই জাতীয় পার্টিতে তার যোগদানের বিষয়টি নিয়ে জোরালো গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতে মনিরুল হক সাক্কুর একান্ত সচিব কবির হোসেন মজুমদার জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের আমন্ত্রণে ঢাকায় তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনিরুল হক সাক্কু সাক্ষাৎ করেন। মূলত কুসিকে ইভিএমে কারচুপির বিষয়ে জানতে তাকে ডাকা হয়েছিলো। এ সময় তাকে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের প্রস্তাব দেন পার্টি চেয়ারম্যোন।
তবে জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয়ের এক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, সাক্কুকে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি জাপায় যোগদানের আশ্বাস দিয়ে সময় চেয়েছেন।
এ বিষয়ে মনিরুল হক সাক্কু জাগো নিউজকে বলেন, জাতীয় পার্টিতে যোগদানের প্রশ্নই উঠে না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে কারচুপি প্রসঙ্গে জানার জন্য আমাকে বেশ কয়েকবার ফোন করে দেখা করতে বলেন। কারণ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা কুসিক নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে যে জালিয়াতি হয়েছে তা তার কাছে জানতে চায়। বিষয়টি আমাকে বলার পর বুধবার দুপুরে তার অফিসে দেখা করি।
নির্বাচনে কিভাবে কারচুপি হয়েছে, ফলাফলে জালিয়াতি হয়েছে ওনাকে (জি এম কাদের) বিস্তারিত বলেছি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন আমরা ইভিএমে নির্বাচনে না যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলাম। এছাড়া আর অন্য কোনো বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা হয়নি। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান সাক্কু।
এর আগে গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৯ মে সন্ধ্যায় বিএনপি কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কুকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।