জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সংকটের প্রতিবাদে আজ বৃহসপতিবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে জনসভার মাধ্যমে ‘বিশাল শোডাউন’ করার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
আন্দোলনের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলকে শক্তিশালী বার্তা দিতে দলটির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিট এরই মধ্যে রাজধানীর সব ওয়ার্ড থেকে জনসভায় ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
বুধবার ইউএনবিকে দলটির শীর্ষ নেতারা এসব কথা জানিয়েছেন।
এদিন দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এতে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যৈষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেবেন।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, জনগণ যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দাম মোকাবেলা করতে হিমশিম খাচ্ছে তখন সরকার জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি করেছে। তারা সরকারের এই অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশে বিশাল জনসমাগম প্রত্যাশা করছেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা থেকে আমাদের দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দেবেন।’
সালাম জানান, নগরবাসী যারা সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত নয়, তারাও সমাবেশে অংশ নেবেন বলে তারা আশাবাদী।
তিনি বলেন, সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সমাবেশকে ব্যাপক সফল করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
সমাবেশের জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে কি না জানতে চাইলে সালাম বলেন, তারা বিষয়টি পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন জনসমুদ্রের সাক্ষী হবে। ‘এটি একটি স্মরণীয় সমাবেশ হবে কারণ আমরা এর জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তারা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমাবেশ করবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা সমাবেশের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে আমাদের শক্তি সম্পর্কে বার্তা দেব এবং অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাব।’
এর আগে সোমবার জ্বালানি তেলের সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারের প্রতিবাদ সমাবেশসহ দু’দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সূত্র : ইউএনবি