দাপুটে জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল বাংলাদেশ

Slider খেলা


শেষ দৃশ্যে বাঘের গর্জন শোনা গেল। হয়ত একটু দেরিতে, তবুও শেষটা তো সুন্দর হলো। জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের পর ওয়ানডে সিরিজও খুইয়েছে বাংলাদেশ। শঙ্কা ছিল নিজেদের ‘প্রিয়’ ফরম্যাটে ধবলধোলাই হওয়ার। তবে বোলারদের আগুনে পারফরম্যান্সে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১০৫ রানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ধবলধোলাই এড়িয়েছে বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বড় পুঁজি পেয়েও বোলাররা কাজে লাগাতে পারেননি। তবে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ২৫৬ রানই যথেষ্ট হয়েছে। রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুই ওভারেই যথাক্রমে দুই ওপেনার তাকুদজাওয়ানাশে কাইতানো (০) এবং তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে (১) ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।

ষষ্ঠ ওভারে পরপর দুই বলে ওয়েসলি মাধেভেরে (১) এবং সিকান্দার রাজাকে (০) সাজঘরের পথ চেনান এই ম্যাচ দিয়েই ওয়ানডেতে অভিষিক্ত এবাদত হোসেন। তার লাফিয়ে ওঠা বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাধেভেরে। পরের বলেই দুর্ধর্ষ ইয়র্কারে আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাজার স্টাম্প উপড়ে ফেলেন এই পেসার।

আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় উল্লম্ফনের দিনে উজ্জ্বল ছিলেন তাইজুল ইসলামও। ইনিংসের নবম এবং ১৪তম ওভারে যথাক্রমে জিম্বাবুয়ের প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক ইনোসেন্ট কাইয়া (১০) এবং টনি মুনইয়োঙ্গাকে (১৩) ফিরিয়েছেন তিনি।

সপ্তম উইকেট জুটিতে ক্রিজে থিতু হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ক্লাইভ মাদান্দে এবং লুক জংয়ে, তাদের সেই জুটি থেকে আসে ২৮ রান। এই জুটিতে ভেঙে ব্রেক থ্রু এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২১তম ওভারে তার খাটো লেংথের বলে সপাটে ব্যাট চালাতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বর করে ফেলেন জংওয়ে। কাভারে এনামুল হক বিজয়ের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৫ বলে ১৫ রান করে।

২৩তম ওভারে আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন মুস্তাফিজ। ওভারের তৃতীয় বলে মাদান্দে (২৪) এবং শেষ বলে ব্র্যাড ইভান্সকে (২) ফেরান এই বাঁহাতি পেসার।

৮৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে যখন পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখনই ক্রিজে দাঁড়িয়ে যান দলটির লেজের সারির দুই ব্যাটসম্যান রিচার্ড এনগারাভা এবং ভিক্টর নিয়াউচি। বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে শেষ উইকেট জুটিতে ৫৮ বলে ৬৮ রান তোলেন তারা। তবে এই জুটিতে শেষ পর্যন্ত হারের ব্যবধান-ই যা কমেছে। ৩৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নিয়াউচিকে বোল্ড করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন মুস্তাফিজ।

বাংলাদেশের পক্ষে ৫.২ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৭ রান খরচায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন এবাদত হোসেন এবং তাইজুল ইসলাম।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ৭১ বলে ৭৬ এবং শেষ দিকে আফিফ হোসেনের ৮১ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস দুটিতে ভর করে সম্মানজনক সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *