মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করা হলো পবিত্র আশুরা। দিনটি উপলক্ষ্যে দেশে দেশে আয়োজিত তাজিয়া মিছিলে যোগ দেন হাজার হাজার মানুষ। করোনার বিধিনিষেধ না থাকায়, এবার বাড়তি মাত্রা পেয়েছে পবিত্র দিনটি। খবর রয়টার্সের।
‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত ইরাকের ঐতিহাসিক কারবালা শহর। মাতমের মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৌহিত্রকে স্মরণ করেন শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। এই প্রান্তরেই হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম ইমাম হোসেন ও তার ৭২ সঙ্গী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। বছর ঘুরে সে দিনটি এলেই অশ্রুসজল হয় কারবালা।
করোনার প্রকোপ না থাকায় এবারের তাজিয়া মিছিলে বাড়তি মাত্রা যোগ হয়। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যেই এতে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ।
যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরা পালন করা হয় মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ইরানে। দিনটি উপলক্ষে রাজধানী তেহরানে তাজিয়া মিছিলে অংশ নেন হাজারো শিয়া মুসলিম। এসময় ইমাম হোসেনের শাহাদাৎ স্মরণে নিজেদের শরীরে ছুরির গোছা দিয়ে আঘাত করে মাতম করতে দেখা যায় অনেককে।
ইয়েমেনেও কড়া নিরাপত্তায় শোক মিছিল করেন, শিয়া মুসলিমরা। শোকবার্তা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে এতে অংশ নেন রাজধানী সানার লাখো বাসিন্দা।
এছাড়াও কড়া নিরাপত্তা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানেও পালন করা হয় পবিত্র আশুরা। বের করা হয় তাজিয়া মিছিল। হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে তল্লাশি চালায় তালেবান প্রশাসনের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।