মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে র্যাব দায় এড়াতে পারে না বলে জানিয়েছেন বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাতি ও ধর্ষণের ৬ দিনের মাথায় ১০ জনকে গ্রেফতারের পর সোমবার (৮ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঘটনার তিনদিন আগে করা হয় পরিকল্পনা। প্রাথমিক খরচ মেটাতে গঠন করা হয় ৫ হাজার টাকার ফান্ড। এরপর টাঙ্গাইলে বাসে সংঘবদ্ধ ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় ১৩ জন। যেখানে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ডাকাতি সমন্বয় করেছেন রতন হোসেন।
সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয় র্যাবের হাতে গ্রেফতার ১০ আসামিকে। যারা গত ২ আগস্ট রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুরে আঞ্চলিক মহাসড়কে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত।
কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রোববার (৭ আগস্ট) ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল পরিকল্পনাকারী রতনের নেতৃত্বে গত ৬ মাসে ১০টি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
র্যাবের এই অভিযানকে সফল দাবি করলেও মহাসড়ক ডাকাতিমুক্ত করতে না পারার দায় র্যাব এড়াতে পারে না বলেও মনে করে বাহিনীটি।
আসামিদের গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ২০টি মোবাইল ফোন, একটি খুর, ছুরিসহ বিভিন্ন জিনিস। এ ঘটনায় ওই বাসের ড্রাইভার-হেলপারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে ওই ঘটনায় টাঙ্গাইল শহরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাজা মিয়াকে ও শুক্রবার (৫ আগস্ট) গাজীপুর থেকে মো. আওয়াল ও নুরনবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।