রাজধানীর তুরাগ কামারপাড়ায় ভাঙারির কারখানায় বিস্ফোরণে মালিকসহ আটজন দগ্ধের ঘটনায় দুজন মারা গেছেন।
উত্তরা বিস্ফোরণে দগ্ধদের ২ জনের মৃত্যু
শনিবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাদের।
তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
শনিবার (৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে উত্তরা কামারপাড়া রাজাবাড়ি পুকুর পাড় এলাকায় ভাঙারির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ আটজনকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দগ্ধরা হলেনঃ গ্যারেজ মালিক গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪০), রিকশাচালক মিজানুর রহমান (৩৫), শাহীন (২৫), নূর হোসেন (৫০), শফিকুল ইসলাম (৩০), মাসুম মিয়া (৩৫), আল আমিন (৩০) ও গ্যারেজের মিস্ত্রী মো. আলমগীর (আলম) (২৩)।
দগ্ধ আল আমিনের স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, তারা ওই এলাকাতেই থাকেন। গাজী মাজহারুল ইসলামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের রিকশা চালান আল আমিন। পাশাপাশি গ্যারেজের ভেতরে একই মালিকের ভাঙারির কারখানাতেও দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন। সকাল ১০টার দিকে তিনি দোকানে যান। এর এক ঘণ্টা পর সেখানে বিস্ফোরণ হলে তিনি দগ্ধ হন।
রাশিদা আরও জানান, ভাঙারির কারখানাতে বিভিন্ন বোতল ফাটানোর সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে তাদের ধারণা।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন জানান, এ ঘটনায় অধিকাংশেরই শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে।