মিরপুর থেকে: মধ্যাহ্ন বিরতির পর দিনের দ্বিতীয় সেশনে মাঠে নেমেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ১০৫ রান খরচ করে মাত্র এক উইকেট তুলে নেওয়া টাইগাররা দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে।
পাকিস্তান তাদের ইনিংস লম্বা করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ব্যাটিং উইকেটে রয়েছেন দুই সেট ব্যাটসম্যান আজহার আলি এবং আসাদ শফিক। এ দু’জন আরও ১০৫ রান যোগ করেছে।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে পাকিস্তান ৪ উইকেট হারিয়ে ৪২৮ রান সংগ্রহ করে। ক্যারিয়ার সেরা রান করে ক্রিজে অপরাজিত থেকে ব্যাট করছেন আজহার আলি (১৭৩ রান) এবং তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন আসাদ শফিক (৫৮ রান)।
দলীয় ৩২৩ রানে ব্যাটিং শুরু করা পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ না করতেই দলপতির উইকেট হারায়। প্রথম সেশনের দ্বিতীয় ওভারে কোনো রান না করতেই সাকিবের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন মিসবাহ (৯ রান)। মোহাম্মদ শহীদের আগের ওভারে (দিনের শুরুর ওভার) কোনো রানই তুলতে পারে নি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা।
দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে ঘূর্ণি জাদুতে মিসবাহ উল হককে বোল্ড করে দুর্দান্ত সূচনা করেন সাকিব আল হাসান। গ্যালারিভর্তি দর্শকরা আশায় বুধ বাঁধেন দিনটা হয়তো হতে যাচ্ছে টাইগারদের। কিন্তু পেস তারকা শাহাদাত হোসেনের অনুপস্থিতি ও স্পেশালিস্ট বোলারের স্বল্পতা দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয় টাইগার অধিনায়ক মুশফিককে।
এর আগে প্রথম দিন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইউনিস খান ও আজহার আলি তালুবন্দি হয়েও নো বলের কল্যাণে প্রাণ ফিরে পান। প্রথম টেস্টে জীবন পাওয়া দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান দলকে।
প্রথম দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় তিন ইউকেট হারিয়ে ৩২৩ রান। আজহার ১২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। এই সেঞ্চুরিয়ানকে সঙ্গ দিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে নামেন ৯ রান করা মিসবাহ উল হক।
টেস্টের প্রথম দিন দলীয় ৫৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনার আউট হলেও ইউনিস খান ও আজহার আলীর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ২৫০ রানের পার্টনারশিপে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
ইউনিস ১৪২ বল মোকাবেলায় ৯টি চার ও এক ছক্কায় টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। অন্যদিকে, ১০টি চারের সাহায্যে আজহারের শতকটি আসে ২১২ বল থেকে।
ইনিংসের ২৩তম ওভারে এবং পাকিস্তানের দলীয় ৫৮ রানের মাথায় দুই উইকেট পড়ে গেলেও আর উইকেটের দেখা মিলছিল না স্বাগতিক বোলারদের। তবে, ইনিংসের ৮৫তম ওভারে মোহাম্মদ শহীদের বলে শুভাগত হোমের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরত যান ১৪৮ রান করা ইউনিস। আউট হওয়ার আগে তিনি ১৯৫ বল মোকাবেলা করে তিনটি ছয়ের পাশাপাশি ১১টি চার হাঁকান।