ওয়ানডেতেও লজ্জার হার বাংলাদেশের

Slider খেলা


জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর অনেকে বলেছিলেন, ওয়ানডে সিরিজে পুষিয়ে দেবে তামিম ইকবাল বাহিনী। কিন্তু নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটেও লজ্জার হারে সিরিজ শুরু হলো টাইগারদের। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। লাল সবুজদের ৩০৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজার সেঞ্চুরিতে ১০ বল হাতে রেখে জয় পায় জিম্বাবুয়ে।

৩০৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে জিম্বাবুয়ে শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তার শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান রেগিস চাকাভা। ফিজের অফ কাটার চাকাভার ব্যাটে লেগে চলে যায় লেগ স্টাম্পে। ৬ বলে মাত্র ২ রান করেন জিম্বাবুইয়ান ওপেনার। ফিজের পর বোলিংয়ে এসে উইকেট নেন শরিফুল ইসলামও।

শরিফুলের বলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে ক্যাচ দেন তারিসাই মুসাকান্দা। এরপর ইনোসেন্ট কাইয়া ও ওয়েসলে মেধেভেরে মিলে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। ধীরে ধীরে ইনিংস বড় করছিলেন এ দুজন। ঠিক তখনই টাইগারদের হয়ে ব্যাকথ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মাহমুদউল্লার কাছ থেকে বল পেয়ে মেধেভেরেকে রানআউট করেন তিনি। ২৭ বলে ১৯ রান করেন মেধেভেরে।

৩ উইকেট হারিয়ে ফেললেও ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজার ব্যাটে প্রতিরোধ বেষ্টনী গড়ে জিম্বাবুয়ে। দুজনে মিলে করেছেন ১৯২ রানের জুটি। কাইয়া ও রাজা, দুজনেই পান সেঞ্চুরির দেখা। সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে কাইয়ার ১১৫ বল ও রাজার ৮১ বল লাগে। মোসাদ্দেকের বলে আউট হওয়ার আগে কাইয়া করেন ১১০ রান। এটা তার ক্যারিয়ারের প্রথম শতক।

সিকান্দার রাজা টিকে ছিলেন জয় পাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। ১৩৫ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৬টি ছয়ের মার। বাকিদের মধ্যে লুক জংউই ২৪ ও মিল্টন শুম্বা ১ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শুরুটা করেছিলেন তামিম-লিটন, শেষটা করেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। তিন বছর পর মাঠে ফেরা বিজয়ও খেল দেখালেন। স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর প্রিয় ফরম্যাটে খেলতে নেমেই চেনা ছন্দে ছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের প্রথম চারজন ব্যাটারই ফিফটির দেখা পান এ ম্যাচে। এমন ঘটনা বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাস দ্বিতীয়বার দেখার সুযোগ পেয়েছে। ওপেনিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন মিলে গড়েন শত রানের জুটি। তাদের জুটি ভাঙে তামিম ৬২ রান করে বিদায় নিলে। লিটন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে করেন ৮১ রান। এরপর এনামুল বিজয়ের ব্যাট থেকে ৭৩ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে ৫২ রান আসে। মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে করেন ২০ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ভিক্টর নাইয়াচি ও সিকান্দার রাজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *