রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম হয়েছেন তানভীর আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী। অথচ তার হয়ে প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছিলেন রাবির ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী বায়জিদ খান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের কারাদণ্ডও দিয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
অবশ্য বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে প্রক্সিতে প্রথম হওয়া তানভীরের ফলাফল বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, ‘এ’ ইউনিটে ৩৯৫৩৪ রোল নম্বরধারী তানভীর আহমেদ প্রথম হয়েছেন। তিনি ৯২ দশমিক ৭৫ পেয়ে ‘এ’ ইউনিটে সবার শীর্ষে অবস্থান করছেন। তবে পরীক্ষার দিন জনসংযোগ দফতর প্রশাসকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও উল্লেখ করা হয় এই রোল নম্বরধারী তানভীরের হয়ে প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছেন বায়েজিদ খান।
শুধু তাই নয়, ওইদিন ৬২৮২৮ রোল নম্বরধারী ইশরাত জাহানের হয়ে প্রক্সি দিতে এসে আটক হন জান্নাতুল মেহজাবিন নামে এক শিক্ষার্থী। নিয়ম অনুযায়ী প্রক্সি বা জালয়াতি ধরা পরার পর ইশরাত বহিষ্কার হবেন কিন্তু প্রকাশিত ফলে দেখা যায় তিনিও পাস করেছেন। তিনি তৃতীয় শিফটে ৪৬ দশমিক ৯০ পেয়ে ৬ হাজার ৯২১তম অবস্থানে রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে সময় সংবাদকে বলেন, ‘তানভীরের ফলাফল ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষতিয়ে দেখছেন যে এই ঘটনায় কার গাফিলতি রয়েছে। তদন্তে যিনি দোষী হবেন অবশ্যই তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’