হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার আগে নেতাকর্মীদের রাজপথ দখলের কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যৌথভাবে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা হরতাল, অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি দাবি করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগে রাজপথ দখল করতে হবে। হরতালের আগে রাস্তা দখল করতে হবে। দখলকারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। আগামী পরশুদিন থেকে বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনিক সমূহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্যালেস্টাইনে যেমন মায়ের বুক খালি হলে মা বুক চাপড়ায়, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের চিত্র এমন। গতকাল যখন আমি রফিকের নিথর দেহ দেখলাম তখন তার মা বুক চাপড়াচ্ছেন। প্যালেস্টাইনের মায়েরাও এমন করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকারের হাতে হারিকেন দেয়ার সময় এসে গেছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের গর্জে ওঠার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সকলকে গর্জে উঠতে হবে, রাজপথ দখলে নিতে হবে। এই সরকার কে আর সময় দেয়া যাবে না। এখন একটাই দফা একটাই দাবি, এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শ্রীলঙ্কার মতন মেগা প্রকল্পে মেগা ঋণ নিয়ে মেগা দুর্নীতি করছে। আজকে যে পরিমাণ ডলার লাগে আগামী দুই বছর পর এর তিনগুণ ডলার লাগবে। এভাবে নতুন প্রজন্মের বড় ক্ষতি করেছে সরকার। আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতির শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। শ্রীলঙ্কার দিকে তাকান শ্রীলঙ্কায় কি শুরু হয়েছিল।
চলতি বছরই হচ্ছে এই সরকারের শেষ বছর বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জাম দুদু বলেন, এরপরের সরকার হবে বিএনপি সরকার। এরপরের প্রধানমন্ত্রী হবে বেগম খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমান।
তিনি বলেন, রহিম হত্যার মধ্য দিয়ে এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। আপনারা অনেকেই বলেন হরতাল অবরোধ দেয় না কেন? হরতাল অবরোধ দেবো এমনকি এই সরকারের বিদায় না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। আপনারা রাজি আছেন? এ সময় উপস্থিত সকল নেতাকর্মীরা হ্যাঁ সূচক শব্দ উচ্চারণ করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহবায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বর্তমান সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, বিএনপি’র প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।