সরকারি কর্তাদের অপ্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণ নয়: হাইকোর্ট

Slider বাংলার আদালত


সরকারি কর্তাদের অপ্রয়োজনে বিদেশ যাত্রা ঠেকাতে সরকারের প্রজ্ঞাপন যথাযথভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (০১ আগস্ট) এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ১২ মে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। অর্থ বিভাগের পরিপত্রে বলা হয়েছে, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল প্রকার এপপোজার ভিজিট, স্টাডি ট্যুর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ এবং কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সকল প্রকাশ বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।

গত ১১ মে বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নতুন করে বিদেশ ভ্রমণের অনুমোদন না দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে আপাতত বিদেশ সফর নয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সময়ে সময়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা এতদিন যেভাবে চলছিলাম, সারা বিশ্বের যে অবস্থা তাতে লাগাম টেনে ধরতে হচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। বিশ্বের যে সামগ্রিক অবস্থা, তা বিবেচনায় নিয়ে এসব সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।’

মূলত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান মুস্তফা কামাল। এসময় বিলাসবহুল পণ্যের ব্যবহার কমানোর কথাও বলেন তিনি।

বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় আমদানি বাবদ প্রচুর ব্যয় হচ্ছে। দেশে ডলারের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপকভাবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৫০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। এ অবস্থায় সরকার বিভিন্নভাবে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমাতে চাচ্ছে।

বিলাস পণ্যের আমদানি কমাতে এলসি মার্জিন বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের বিষয় রয়েছে সেগুলো দেরিতে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমে আসছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে লাগাম টানার চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে করোনার সময়েও সরকার সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *