জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশকে টার্গেট দিয়েছে ২০৬ রানের। বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চাপের মুখে ৩ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। মুনিম শাহরিয়ারের পর বিদায় নিয়েছেন লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়ও।
২০৬ রানের টার্গেট, রানরেটও দশের ওপরে। এমন ম্যাচে প্রথম ওভারে মাত্র ৫ রান তোলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। ৮ বল খেলে তিনি করেন মাত্র ৪ রান। তার আগের তিনটি ম্যাচের স্কোরগুলো ছিল এমন ‘ ১৭, ৪ ও ২’।
লিটন আউট হন বোকামির ফলে। ক্যাচ ড্র্রপ হয়ে গেলেও রানআউটের শিকার হন তিনি। ১৯ বলে ৬ চারে তিনি করেন ৩২ রান। এরপর সিকান্দর রাজার বলে এনামুল হক ক্যাচ দেন মিল্টন শুম্বাকে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮৭ রান নিয়ে ব্যাট করছে টাইগাররা। জয়ের জন্য তাদের আরও দরকার ১১৯ রান।
এর আগে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে চাকাভা ও আরভিন মিলে তাসকিনের প্রথম ওভারে ৮ রান তোলেন। নাসুম ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দেন মাত্র ৪ রান। রোডেশীয় শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ৮ রানে ফিরিয়ে দেন ওপেনার রেগিস চাকাভাকে। ক্রেগ আরভিনের উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন। ১৮ বলে আরভিন করেন ২১ রান। এরপর ওয়েসলে মেধেভেরে ও শন উইলিয়ামস মিলে গড়েন ৫৬ রানের জুটি।
উইলিয়ামস ৩৩ রান করে ফিরে গেলেও দুর্দান্ত ব্যাট করেন মেধেভেরে। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি সিকান্দর রাজাকে নিয়ে গড়েন আরও ৯১ রানের জুটি। মেধেভেরে করেন হাফসেঞ্চুরি, হাফসেঞ্চুরি করেন রাজাও। ৪৬ বলে ৯ চারে ৬৭ করেন মেধেভেরে। মাত্র ২৬ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রাজা।
বাংলাদেশের হয়ে ফিজ নেন দুই উইকেট। একটি উইকেট পান সৈকত।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, এনামুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুনিম শাহরিয়ার, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
রেগিস চাকাভা, ক্রেগ আরভিন, ওয়েসলে মাধেভেরে, শন উইলিয়ামস, সিকান্দর রাজা, মিল্টন শুম্বা, রায়ান বার্ল, লুক জংউই, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা ও চিভাঙ্গা।