লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে নিজেদের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। বসার জায়গা নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকমীরা বাকবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে একে অপরকে কিল ঘুষি দিতে থাকেন।
শনিবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। ৩ দফায় ১০মিনিট ধরে চলা কর্মীদের এই মারামারি ক্ষান্ত হয় মঞ্চে বসা সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে হাজির হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা শাহবাগ থেকে শুরু করে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেন।
এসময় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকার সড়কগুলোতে কড়া নিরাপত্তা প্রহরা বসায়।
সমাবেশের বিএনপির সিনিয়র নেতারা সরকারের সমালোচনা করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সংকটের জন্য দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন। হুঁশিয়ারি দেন সরকার পতনের আন্দোলনের।
দুর্নীতি, মেগা চুরির কারণে বিদ্যুৎখাতে ভরাডুবি ও লোডশেডিং হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এখন আবার দুর্নীতি করতে নিজস্ব লোকদের দিয়ে বিদেশ থেকে এলপিজি আমদানি করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ বিদ্যুৎ, গ্যাস পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। রাজনীতি ও বিচার বিভাগকে ধ্বংসের পর এবার অর্থনীতিকে শেষ করছে। সরকার উন্নয়নের মিথ তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।’
সরকার পতনের জন্য এক দফা আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ সরকারের কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। পতন না হলে মানুষের কষ্ট কমবে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।
এ সময় বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির সহসংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপি নেতা নবী উল্লা নবী, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।