জিম্বাবুয়ের হারারেতে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। নতুন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে ঘুরে দাড়ানোর প্রত্যয় টাইগারদের। তবে বল হাতে সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা।
সিকান্দার রাজা আর ওয়েসলি মাধেভেরে ঝড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২০৫ রানের পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলের সামনে ২০৬ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য।
কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশের অষ্টম অধিনায়ক হিসেবে টস করতে নেমে ভাগ্য সহায় হয়নি সোহানের। ফলে জিম্বাবুয়ের নেওয়া সিদ্ধান্তে আগে বল হাতে তুলে নিতে হয় বাংলাদেশ দলকে। সিনিয়রদের ছাড়া নতুন অধ্যায়ে নিয়মিতদের ওপরেই আস্থা রাখে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা পারভেজ হোসেন ইমনের অপেক্ষা বেড়েছে আরো।
পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৫ জন বোলার ব্যবহার করেন নতুন দলপতি। তাতে ফল মেলে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই। ওপেনার রেগিস চাকাভাকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। স্ট্যাম্প বরাবর ফুলার ডেলিভারিতে উড়িয়ে মেরেছিলেন চাকাভা। টাইমিংয়ের গড়বড়ে বল উঠে যায় আকাশে। মিডউইকেটে তালুবন্দি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১ বলে ৮ রান করেন চাকাভা। পাওয়ার-প্লে ওই ১ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
সপ্তম ওভারের প্রথম বলে আরেক ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে সাজঘরে ফেরান অফ স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন। মোসাদ্দেকের কুইকার ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে অন সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন আরভিন। কিন্তু বল ব্যাট মিস করে ভেঙে দেয় উইকেট। ১৮ বলে ২১ রান করেন তিনি। ৪৩ রানে ও ১ উইকেট হারানোর পর সফরকারী বোলারদের ওপর চড়াও হন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।
তৃতীয় উইকেটে ওয়েসলে মাধভের ও শন উইলিয়ামস ৩৭ বলে গড়েন ৫৬ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা উইলিয়ামসকে অবশ্য থামান মুস্তাফিজ। ব্যাক অব হ্যান্ডের ডেলিভারি অফে খেলতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামস, কিন্তু বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত করে উইকেটে। ৪ চার ও ১ ছয়ে ১৯ বলে ৩৩ রান করেন এই তিনি।
৯৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর সিকান্দার রাজাকে নিয়ে ব্যাট চালিয়ে খেলেন মাধভের। ৬ চারে ৩৭ বলে অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। ফিফটি পূর্ণ করার পর বাংলাদেশি বোলারদের ওপর আরো চড়াও হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কম যাননি রাজাও, আরো বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় চার-ছয়ের ফুলঝুরি সাজিয়ে বসেন তিনি। ৫ চার ও ৩ ছয়ে মাত্র ২৩ বলে ফিফটি কোটা পূর্ণ করেন রাজা।
শেষ ওভারে অবশ্য চোট নিয়ে উঠে যান মাধেভেরে। ৪৬ বলে ৬৭ রান করে অবসরে যান তিনি। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন রাজা। যেখানে ৭টি চার ও ৪টি ছয় মারেন এতে। এতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২০৫ রানের পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলের সামনে ২০৬ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য।
বাংলাদেশের হয়ে চার ওভারে ৫০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নান মুস্তাফিজ। সমান ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য তাসকিন।