বেশিরভাগ নারী তার চেয়ে বয়সে অন্তত ১-৫ বছরের বড় পুরুষকে বিয়ে করেন। অনেকেরই ধারণা, নারীর চেয়ে পুরুষের বয়স একবছর হলেও বেশি হওয়া উচিত, তাহলে নাকি তাদের বোঝাপোড়া ভালো হয়!
তবে চিকিৎসক ও সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, যে নারীরা তাদের থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমবয়সী পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তারাই নাকি বেশি সুখী ও সন্তুষ্ট হন।
এ বিষয়ে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিনসে ইনস্টিটিউটের গবেষক ডা. জাস্টিন লেহমিলার ২০০ জন নারীর উপর এক জরিপ করেন। ডা. জাস্টিন হলেন একজন বিখ্যাত সোশ্যাল সাইকোলোজিস্ট।
২০০ জন নারীর উপর পরিচালিত সমীক্ষায় অংশ নেওয়া নারীদের মধ্যে কেউ কেউ বয়সে ছোট, সমবয়সী কিংবা বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত ছিলেন।
সমীক্ষা শেষে দেখা যায়, যে নারীরা তাদের থেকে প্রায় ১০ বছরের ছোট পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তারেই ব্যক্তিগত জীবন সবচেয়ে সুখী ছিলেন।
বয়স্ক পুরুষ বা তাদের কাছাকাছি বয়সী পুরুষদের সঙ্গে যেসব নারীরা সম্পর্কে জড়িত ছিলেন তারা জীবনে ততটা সুখী ছিলেন না।
তবে এর পেছনে কী কারণ আছে, তা ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট তথ্যাদি না থাকলেও গবেষক কিছু বিষয় ধারণা করেছেন।
ডা. জাস্টিনের মতে, এমন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীরা বেশ মনোযোগী থাকে। তারা পুরুষ সঙ্গীকে সম্পর্কের টানাপোড়েন, চড়াই-উতরাই সম্পর্কে আগ থেকে পরামর্শ দেন।
নিজের থেকে কম বয়সী পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের ফলে নারীরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। নিজের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সঙ্গীকে সমৃদ্ধ করতে পেরে পরিতৃপ্তি লাভ করেন নারীরা।
এমনকি বয়সে ছোট পুরুষ সঙ্গীও তার নারী সঙ্গীকে সস্তুষ্ট করতে ও ভালোবাসতে সর্বদা চেষ্টরত থাকেন। এতে করে দুজনের মধ্যে আরও বোঝাপোড়া ও ভালোবাসা বাড়ে। এমনকি এমন সংসারের সন্তানেরাও ভালোভাবে গড়ে ওঠে।