ঢাকা: একীভূত শিক্ষানীতির আলোকে কিন্ডারগার্টেনে একই কারিকুলামে একই বই পড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
বুধবার সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, প্রাইভেট কিন্ডারগার্টেন আছে, বেসরকারি প্রাথমিক আছে এবং অন্যান্য স্কুল আছে। আমরা চাই একীভূত শিক্ষানীতির আলোকে একই বই, একই কারিকুলাম; কারণ শিশুদের ওপর কবই চাপানো প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই বলে থাকেন। তিনি অত্যন্ত শিশুবান্ধব। আমরা ভিন্ন ছড়া, রাইংস, এটা সেটা পড়তে চাই না।
তিনি বলেন, শিশুদের ১০-১২ বছর পর্যন্ত মস্তিষ্ক বর্ধনশীল। সেহেতু আমরা তাদের এমন কোনো চাপের মধ্যে বা এমন কোনো বিষয়ের মধ্যে ফেলতে চাই না, এমনকি পৃথক ডিজিটাল ডিভাইস হাতে ব্যবহার করা নিরিুৎসাহিত করছি। তবে বাসায় স্মার্ট টেলিভিশন, কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এটা করতে চাই না।
‘কিন্ডারগার্টেনে ভিন্ন সিলেবাসে পড়ানো যাবে না। আমরা তাদের সঙ্গে বসব, আলাপ আলোচনা করবো। একই বিষয়ে একইভাবে যেন পড়ায়। ’
৩ হাজার ২১৪টি স্কুলে দুই বছরের প্রাক-প্রাথমিক
চার বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিকের কারিকুলাম প্রস্তুত হয়ে গেছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, জানুয়ারি থেকে ৩ হাজার ২১৪টি স্কুলে তার পাইলটিং শুরু হবে।
সিনিয়র সচিব বলেন, জানুয়ারি থেকে নতুন কারিকুলামের বই পাবে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তবে দ্বিতীয় শ্রেণিতে দেওয়া হবেন না। ইতোমধ্যেই পরীক্ষামূলক হিসেবে পড়ানো শুরু হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম বলেন, বইয়ের বিষয়বস্তুর পরিবর্তন ৩০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। আর বাকিটুকু স্ট্রাকচারে বা ডিজাইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। যেমন প্যারাগ্রাফ ছোট করা হচ্ছে, বড় করা হচ্ছে।
সিনিয়র সচিব বলেন, টিচার্স গাইড এবং পাঠ্য পুস্তকের কাজ প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। শেষ হলেই আমরা পাইলটিংয়ে যাচ্ছি, সেটার জন্য প্রস্তুতি আছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরামর্শ নিয়ে বই ও টিচার্স গাইড তৈরি করা হয়েছে।