ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি/ ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৩ জন। গত ২৪ জুলাই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সংসদ সচিবালয়। নিয়মানুযায়ী গাইবান্ধা- ৫ আসনে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে আলোচনা কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন।
জানা যায়, আবু বকর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ছিলেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দ্বিতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যদিকে প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি। তার স্বামী বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার। মেয়ে হিসেবে বাবার উত্তরাধিকার দাবি করতে পারেন বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন মাহমুদ হাসান রিপন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায়ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, তিনিও হতে পারেন মনোনয়ন প্রত্যাশী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের দলের বর্তমান কৌশলের ওপর নির্ভর করবে দল কাকে মনোনয়ন দেবে। ওই আসনটিতে আওয়ামী লীগ বিরোধী অবস্থান। ওখানে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ একজন নেতা আছেন যিনি বঞ্চিত। আবার প্রয়াত সংসদ সদস্যের পরিবারও দাবি করতে পারে। সব মিলিয়ে হিসেব করেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।
ওই নেতা আরও বলেন, যদি কাউকে ম্যানেজ করার বিষয় থাকে তাহলে হয়তো পরিবারের দিকে যেতে পারে। আবার আমরা যদি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল অবলম্বন করি তাহলে তরুণ কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। প্রক্রিয়াগুলো আমাদের মনোনয়ন বোর্ডে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, উনি মারা গেছেন মাত্র দুই দিন হলো। আমরা ওনাকে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারিনি এখনো। এখনই বলা যাচ্ছে না প্রার্থী কারা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেই প্রার্থী হতে চান আগে আমাদের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে হবে।
গত ২২ জুলাই নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। এ সংসদ সদস্য দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।