নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিলে প্রধানমন্ত্রীর চা খেতে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসলে চা খাওয়াব।’ তার আগে বলে দেন নিরেপক্ষ সরকার সিস্টেম এনে দিচ্ছি। তাহলে চা খাওয়ার অসুবিধা কী? সমস্যার সমাধান হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরেপক্ষ সরকার।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে অমানিশা : দুর্নীতি আর লুটপাটের খেসারত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব ব্যবস্থা সরকার করেছে। কিন্তু জ্বালানি কোথা থেকে আসবে সে ব্যবস্থা সরকার করেনি। জ্বালানির ব্যাপারে সরকার কোনো পরিকল্পনা করেনি। পরিকল্পনা না করার কারণে দেশে আজ বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখনো যে দেশের মানুষ দুই বেলা খেতে পায় না, যে দেশের মানুষ এখনো ৪২ শতাংশ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। সেই দেশকে সিঙ্গাপুর বানাচ্ছেন। আপনাদের নিরাপত্তার জন্য আবার কানাডায় বেগম পাড়া করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে সেকেন্ড হোম করছেন। এইটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের আসল চেহারা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, লোডশেডিং গ্রামে বেশি হয়। সেখানে ৬-৭ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হয়। শহরের মানুষদের খুশি রাখার জন্য শহরে লোডশেডিং কম হচ্ছে। কারণ শহরের মানুষ একটু বেশি হৈচৈ করে, আন্দোলন করে। এজন্য শহরে কম লোডশেডিং হচ্ছে। শহরের মানুষদের খুশি রেখে গ্রামে যারা কৃষি কাজ করে, ফসল ফলান তাদের লোডশেডিং বেশি দিচ্ছে। ফলে কী হবে? ফসল উৎপাদন কমে যাবে। ধান উৎপাদন কমে যাবে। খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে চলে যাবে। এভাবেই পতন অনিবার্য হবে।
মেগা প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মেগা দুর্নীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেগা প্রজেক্টে মেগা লুটের কারণে বাংলাদেশের আজ এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সাথে কথা বললে মনে হবে তারা একটা স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে এবং উন্নয়নের রোল মডেল। এখন রেমিট্যান্স কমে আসছে। চোখে সর্ষে ফুল দেখবেনম দেখা শুরু করেছেন। যার জন্য এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছেন।