গ্রাফিক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকাকে একীভূত করে নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেছে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন। ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে শনিবার (২৩ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাকিস্তান হাইকমিশনকে ওই ছবিটি সরাতে বলা হয়েছে।
তবে রোববার (২৪ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিজেদের ফেসবুক পেজ থেকে ছবিটি সরায়নি পাকিস্তান হাইকমিশন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তান হাইকমিশনের ফেসবুক পেজের ‘কাভার ফটো’তে পতাকার ছবিটির বিষয়ে জানার পর শনিবার বিকেলে ছবিটি মুছে ফেলতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান হাইকমিশনও ছবিটি সরিয়ে ফেলবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আশ্বস্ত করেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের কভার ফটো হিসেবে ওই গ্রাফিক্সটি পোস্ট করা হয়। ছবিটি পোস্ট করার পরপরই অনেকে একে পাকিস্তান হাইকমিশনের ধৃষ্টতা বলে আখ্যায়িত করেন। সমালোচনামূলক মন্তব্যে ভরে যায় কমেন্ট বক্স। কিন্তু তারপরই কমেন্টস অপশন বন্ধ করে দেয়া হয়।
মনির নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার লাল-সবুজের পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানি পতাকা সংযুক্ত করে বিকৃত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
পার্থসারথী নামে একজন লিখেছেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা জাতীয় পতাকার অবমাননা।’ সিয়াম হোসেন নামের একজন লিখেছেন, ‘পশ্চিম বাংলাদেশের নতুন পতাকা।’
দ্বীপ রায় নামে একজন লিখেছেন, ‘আগে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চান।’ আমির হামজা নামে অপর এক ফেসবুক ব্যবহারকারী কিছুটা ব্যঙ্গ করে পাকিস্তান হাইকমিশনের উদ্দেশে প্রশ্ন করেছেন, ‘কি, আফসোস হয়?’
বিষয়টি জানতে চাইলে শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সময় সংবাদকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। তাই এটি নিয়ে আপাতত কোনো মন্তব্য করছি না।’
তারপর শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনকে ওই ছবিটি সরিয়ে ফেলতে বলা হয়।