চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগের মূলহোতা আজিমসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২২ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। শুধুমাত্র আজিম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অপর তিনজন বহিরাগত বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব ৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ।
তিনি জানান, ঘটনার সময় এই চারজনই সেখানে ছিলেন। আটক হওয়া বহিরাগত ৩ জনের মধ্যে বাবু ও শাফায়েত নামে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেলেও অপরজনের নাম জানা যায়নি। বর্তমানে তাদের পতেঙ্গা র্যাব সদর দফতরে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত রোববার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করে পাঁচ যুবক। ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে গাছে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণেরও অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। এর পরদিন প্রক্টরের কার্যালয়ে মেয়েটি অভিযোগ জানাতে গেলে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাধা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত ২০ ও ২১ জুলাই দফায় দফায় আন্দোলন করে চবি শিক্ষার্থীরা। সবশেষ শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত পুলিশের সহযোগিতায় চবির আমানত হলে অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।