সিটি নির্বাচনে অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ। সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সিইসির বক্তব্যের অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলেই সচিবালয় থেকে বেরিয়ে যান সিইসি। এসময় তার একান্ত সহকারী একেএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, স্যার মনে হয় সারপ্রাইজ ভিজিটে যাচ্ছেন। সিইসি’র গাড়ির পিছু নেন সাংবাদিকরা। প্রথমে তিনি মোহাম্মদপুরের রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে যান। বিভিন্ন কেন্দ্রে অরাজকতা হচ্ছে, গোলাগুলি হচ্ছে এ প্রসঙ্গে সেখানে সিইসির কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা দেখান। এসময় সিইসির গাড়ি বহর থাকা পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক ধাক্কাধাক্কি হয়। ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান নিজে এনটিভি, বাংলাভিশন, যমুনা ও ইটিভির ক্যামেরা ম্যান ও রিপোর্টারসহ কয়েকজন সাংবাদিককে ধাক্কাতে ধাক্কাতে দ্রুত গাড়িতে উঠিয়ে দেন সিইসিকে। পরে তিনি কেন্দ্র ত্যাগ করেন। এরপর তিনি ঢাকা দক্ষিণের ধানমন্ডি কাকলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। দুই কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে পুনরায় কমিশনে ফিরে আসেন সিইসি। সকাল সাড়ে দশটার দিকে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, নির্বাচন খুব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হচ্ছে। শুধুমাত্র সুরিটোলার একটি কেন্দ্রে ঝামেলা হয়েছে। সেখানে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে সকাল থেকে ইসিতে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ইসি সচিবালয়ে কোন সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্যারেরা মিটিংয়ে আছেন। তারা কিছু বলার থাকলে নিজেরাই বলবেন। আপনারা মিডিয়া সেন্টারে বসেন। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা শুনে ইসিতে কর্মরত সাংবাদিকরা বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের টেস্ট ম্যাচে মনোনিবেশ করেন।