ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের পেট ফেটে অলৌকিকভাবে জন্ম নেয়া নবজাতকটি সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত নয়। তার জন্ডিস ধরা পড়েছে।
জন্মের পর থেকেই শিশুটি জীবনযুদ্ধে লড়ছেন হাসপাতালের বিছানায়। শিশুটির চিকিৎসায় মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের প্রধান ডা. তাফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে গঠন করা হয় ৫ সদস্যের কমিটি।
ডা. তাফাজ্জল হোসেন বলেন, গত সোমবার শিশুটির রক্তশূন্যতা দেখা দিলে লাবীব হাসপাতাল থেকে নেয়া হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে। সেখানে রক্ত দেয়াসহ শিশুটির জন্ডিস ধরা পড়লে দেয়া হয় ফটোথেরাপি।
এদিকে শিশুটির পরিচর্যায় কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আপাতত ৫ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
নিজ তত্ত্বাবধানে রাখা মো. শাহজাহান জানান, নবজাতকের ভরণপোষণের জন্য এরই মধ্যে সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। স্থানীয়রাও এগিয়ে এসেছেন আর্থিক সহায়তায়।
এদিকে শিশুটিকে অনেকেই দত্তক নিতে চাইলেও তাতে রাজি নন তার দাদা-দাদি।
শনিবার (১৬ জুলাই) বেলা পৌনে ৩টায় ময়মনসিংহের ত্রিশালে মহাসড়ক পারাপারের সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোর্টভবন এলাকায় ট্রাকচাপায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত নারীর গর্ভে থাকা নবজাতক অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়।
নিহতরা হলেন- স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না বেগম ও শিশু সন্তান সানজিদা (৫)। তাদের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে বাড়ি থেকে ত্রিশাল এসেছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়।