নজিরবিহীন কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দুপুর সোয়া ১২টায় নয়া পল্টনস্থ বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র পক্ষে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ। এ সময় আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহবায়ক প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমদ ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শওকত মাহমুদসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের দলীয় সমর্থনপ্রাপ্ত প্রার্থী তাবিথ আঊয়াল ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আজকের নির্বাচনে আবারও প্রমানিত হলো দেশে কোন গণতন্ত্র নেই। মানুষের ভোটের অধিকার নেই। মানুষের আকাংখা ছিল গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ও সরকার তা থেকে জনগনকে বঞ্চিত করেছে। জনগনের আশা ছিল এবারের সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। আমরা বিএনপি’র পক্ষ থেকে আশা করেছিলাম এ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন আরো জোরদার হবে। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা তো দূরের কথা, নির্বাচনে ভোট দেয়ার নূন্যতম সুযোগ ও পরিবেশটুকু নষ্ট করা হয়েছে। ভোট গ্রহনের দিনটি ভোটারদের নিরাপদে ভোট দেয়ার পরিবেশটুকু নষ্ট করে দিয়েছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারি দলকে সহায়তা করার জন্য ভোট কেন্দ্রগুলোতে নিয়োজিত ছিল।
ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ-র্যাব সরকারের ইচ্ছা পূরণ করতে কাজ করেছে।
ব্যারিষ্টার মওদুদ সিটি নির্বাচন বর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে বলেন, এ মুহুর্ত থেকে আমরা ও আমাদের সমর্থক ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রার্থীত্রয় নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিচ্ছেন। কোন নির্বাচন হয়নি আজ। আজ গণতন্ত্র ও নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হয়েছে। জনগনও এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে কারণ তারাও কোথাও ভোট দিতে পারেন নি।