ইতিহাসের গভীরতম অর্থনৈতিক সংকট থেকে শ্রীলঙ্কাকে টেনে তুলতে কে হবেন কাণ্ডারী? কে হবেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট? এটি জানা যাবে আজই। বুধবার (২০ জুলাই) নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে।
শ্রীলঙ্কায় সাধারণত জনগণের ভোটেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়। তবে এবার সংকটকালে দ্রুততার সঙ্গে নেতা নির্বাচনের প্রয়োজন হওয়ায় বড় পরিসরে ভোটের আয়োজন বাদ দেওয়া হয়েছে। তার বদলে পার্লামেন্টে জনপ্রতিনিধিদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন পরবর্তী সরকারপ্রধান।
দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখী। তাতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকেই এগিয়ে রাখছেন বিশ্লেষকেরা। যদিও বিক্ষোভকারীরা তাকে রাজাপাকসে পরিবারের মিত্র হিসেবেই দেখছে।
টানা কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভের মুখে সম্প্রতি দেশছেড়ে পালিয়েছেন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। প্রথমে মালদ্বীপ, এরপর সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নেন তিনি। এরপর সেখান থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন গোতাবায়া। এর আগে তার দুই ভাই মাহিন্দা এবং বাসিল যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন।
লঙ্কান পার্লামেন্টের এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজাপাকসেদের দল এসএলপিপি। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তারা রনিল বিক্রমাসিংহেকে সমর্থন দিচ্ছে। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে শ্রীলঙ্কা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েই দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন রনিল। পর্যবেক্ষকদের মতে, রনিল বিক্রমাসিংহে নির্বাচনে জিতলে বিক্ষোভকারী ও বিরোধী মতাদর্শীদের দমনে চড়াও হতে পারেন।
নির্বাচনে রনিলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এসএলপিপির সমালোচক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দুল্লাস আলাহাপেরুমা। সাবেক এই সাংবাদিকের প্রতি সমর্থন রয়েছে বিরোধীদের। ‘শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রকৃত ঐক্যের সরকার’ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আলাহাপেরুমা। তিনি জিতলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন বিরোধী দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাকে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় প্রার্থী হচ্ছেন ৫৩ বছর বয়সী অনুরা দিসানায়েক। বামপন্থি এ নেতার দলগত জোটের মাত্র তিনটি আসন রয়েছে লঙ্কান পার্লামেন্টে।