‘রাত ৮টার পর শপিংমল খোলা থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন’

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল খোলা থাকলে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) প্রতিমন্ত্রী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ কথা জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল খোলা থাকলে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে মনিটর করা হবে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে। সোমবার রাত থেকেই এই অভিযান শুরু করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

সোমবার বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা, পল্টন, ফকিরাপুলসহ বেশ কিছু এলাকায় অভিযান পরিচালিত করে ডিপিডিসির টিম। তারা প্রথমে মাইকে লাইট বন্ধ করার অনুরোধ করেন। এরপরও যারা বন্ধ করেনি তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সতর্কবার্তা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। সবার প্রতি অনুরোধ আমাদের কাজে সহযোগিতা করুন।

এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পুরো বিশ্বেই অস্থির জ্বালানি তেলের বাজার। দেশেও বেড়েছে দাম। যার প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারেও।

এ অবস্থায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সারা দেশে রাত ৮টার পর দোকান, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৬-এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়।

নির্দেশনা অমান্য হলে আইন অনুযায়ী ছয় মাসের কারাদণ্ডসহ জরিমানার কথাও উল্লেখ করেন শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী।

রাত ৮টার পর খোলা থাকবে যেসব দোকান-

ক) ডক, জেটি, স্টেশন অথবা বিমানবন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস;
খ) প্রধানত: কাঁচা তরকারি, মাংস, মাছ, দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান;
(গ) প্রধানত: ওষুধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান,
(ঘ) দাফন ও অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান,
(ঙ) প্রধানত: তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান, এবং দোকানে বসিয়া খাওয়ার জন্য (হালকা নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান)।

(চ) খুচরা পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটরগাড়ির সার্ভিস;
(ছ) নাপিত এবং কেশ প্রসাধনীর দোকান;
(জ) যে কোনো ময়লা নিষ্কাশন অথবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা:
(ক) যে কোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যা জনগণকে শক্তি, আলো অথবা পানি সরবরাহ করে;
(ঞ) ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *