ঢাকা: নাশকতার দুই মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহবায়ক মির্জা আব্বাসের আগাম জামিন শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ৪ মে পুনর্নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (২৭ এপ্রিল) এ দিন পুনর্নির্ধারণ করেন বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ।
রোববার (২৬ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) আগাম জামিনের আবেদন নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের তৃতীয় এ বেঞ্চটি গঠন করে দেন।
সোমবার বেঞ্চটিতে জামিনের আবেদন শুনানির জন্য এলে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ অন্যরা এক সপ্তাহের সময়ের আবেদন জানান। আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ৪ মে শুনানির দিন পুনর্নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশিরউল্লাহ। তিনি শুনানি পেছানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৫ এপ্রিল মির্জা আব্বাসের আগাম জামিন বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বেঞ্চটির জ্যেষ্ঠ বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী তিন সপ্তাহের আগাম জামিন দিলেও কনিষ্ঠ বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। আইন অনুসারে পরে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়। তিনি জামিনের আবেদন নিষ্পত্তিতে তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেন।
এদিকে দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির অন্য মামলাটির জামিনের আবেদনের শুনানি ওই বেঞ্চ ১৫ এপ্রিল কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। ১৬ এপ্রিল বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করেন মির্জা আব্বাসের আইনজীবীরা।
এ আবেদনের শুনানির জন্যও সোমবার দিন ধার্য রয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল মোট তিনটি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন মির্জা আব্বাস। বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের অভিযোগে ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর পল্টন থানায়, একই বছরের ৬ মার্চ প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় এবং বিস্ফোরক আইনে গত ৪ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় এ আগাম জামিনের আবেদন করা হয়।
তবে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩৭টি মামলা রয়েছে বলে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।