সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম): চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর পরিদর্শনে গিয়ে সন্ত্রাসীদের মারধরের শিকার হলেন সলিমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আরিফ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সামনেই এ ঘটনা ঘটে।
সীতাকুণ্ডের ১০ নম্বর সলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মাসুদ কামাল, সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল আলম, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মং মারমা ও আমিসহ জঙ্গল সলিমপুর পরিদর্শনে যায়। পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় ফেরার পথে গাড়ি থেকে নামিয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আরিফকে বেধড়ক মারধর করে জঙ্গল সলিমপুর বাস্তুহারা ইয়াসিন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।
ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আরিফ জানায়,‘সন্ত্রাসী ইয়াসিন বাহিনী অতর্কিতভাবে আমার উপর হামলা চালায়। তারা মারতে মারতে বলতে থাকে এখানে কেউ আসতে পারবি না। তুই আমাদের নাগরিক সনদ ও জন্মসনদ দিতে গড়িমসি করিস।’
তিনি আরও বলেন,‘সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে আমাকে মেরে তারা বার্তা দিয়েছে যে,এটা আমাদের এলাকা। এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমাদের গাড়ি বহরের সবার পিছনে ছিল চেয়ারম্যানের গাড়ি। সেই গাড়িতে ইউপি মেম্বার আরিফ ছিলেন। কিছু লোকজন গাড়ি থেকে নামিয়ে নাগরিক সনদের কথা বলে তাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আমরা এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতেই আরিফ মেম্বারের ছোট ভাই আবদুল আলীম বাদী হয়ে ইয়াসিনসহ ৬ জনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সুমন বনিক জানায়, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে,জঙ্গল সলিমপুর সন্ত্রাসী মুক্ত করা হবে।
