মনজুর-নোমানের প্রচারণার গাড়িতে হামলা, চট্টগ্রামে আতঙ্ক

Slider জাতীয়

73029_cc

চট্টগ্রামের ২০ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মেয়র মনজুর আলম ও তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান নির্বাচনী গণসংযোগকালে তাদের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে নগরীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহমুদুল হাসান, ছাত্রদল নেতা এইএম রাশেদসহ তিনজনকে। সিটি নির্বাচনকে ঘিরে উদ্ভুত এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম নগরীতে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। নগরীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। গত রাতেই নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ায় চারদিকে একটা গুমোট নীরবতা নেমে এসেছে। আতঙ্কে ভোটার  কোন প্রার্থীর কাছে মন খুলে কথা বলছেন না। শেষ দিনের মতো আজ সকালে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ অর্ধশতাধিক দলীয় নেতাকর্মী। ছোট্ট মিনি ট্রাকে প্রচাারণা চালানো সময় নগরীর পলিটেকনিক এলাকায় তাদের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এঘটনার পর তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নগরীর মেহেদীবাগের বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মনজুর আলম বলেন, আজ (রোববার) প্রচারণার শেষ দিন। আমদের কিছু এলাকায় প্রচারণা বাকি ছিল।  তাই ২ নম্বর গেইট এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করি।  তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রহমান নগর, কসমোপলিটন, রুবি গেইট এলাকায় গণসংযোগ করে পলিটেকনিক্যাল এলাকায় যাই। পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট অতিক্রম করার সময় পেছন থেকে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল ইটপাটকেল  ছোড়ে ও লাঠিপেটা করতে থাকে। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। আমার ব্যক্তিগত ভিডিও ক্যামেরাটিও ভাঙচুর করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এসব সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে শনিবার রাতে নগরীর রহমতগঞ্জ এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার নগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম রাশেদসহ দুইজন। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহমুদুল আলমকে কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *