ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট বিপ্লবের আহবান জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ভোটের মাধ্যমে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিশোধ নিতেও বলেছেন তিনি। ২৮শে এপ্রিলের নির্বাচনকে প্রতিবাদের ভোট হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেছেন, ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে সবাইকে ভোট দিতে হবে। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাহারা দিতে হবে কেন্দ্র।
দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ আহবান জানান। এ সময় ২০ দলীয় জোট ও আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এক ঘন্টার বক্তব্যে তিনি দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সংলাপ ও সমঝোতার আহবান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। ক্ষমতা ত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কোন ধরনের প্রতিশোধ নেয়া হবে না বলেও জানান তিনি। সিটি নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের জন্য আবারও দাবি জানান বেগম খালেদা জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কথা স্মরণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এই সময় তাকে চোখ মুছতেও দেখা যায়।
বেগম জিয়া বলেন, সন্ত্রাস নির্ভর নষ্ট রাজনীতির ধারক আওয়ামী লীগ। যে সরকার ও প্রশাসন সামাজিক উৎসবে নারীদের নিরাপত্তা দিতে জানে না, নারীদের সম্মান জানাতে পারে না তাদের ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া উচিৎ। বেগম জিয়া বলেন, দেশের পরিস্থিতি এমন যে ক্ষমতাসীন ছাড়া কারও কোন সুবিধা পাওয়ার অধিকার নেই। তার ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নাটক বলেছেন ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে আমি মর্মাহত। হতাশা প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, জানি এ হামলার বিচার হবে না। এ হামলায় ছাত্রলীগ অংশ নিয়েছে এবং এতে সহযোগিতা করেছে পুলিশ। এ হামলার ঘটনায় পক্ষপাতদূষ্ট নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রতারণামূলক। নির্বাচনী এলাকায় আবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তিনি। খালেদা বলেন, জনগণের প্রতি আস্থা থাকার কারনেই বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি সর্মথিত প্রার্থীদের হয়রানী করারও অভিযোগ আনেন বেগম জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কথা স্মরণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এই সময় তাকে চোখ মুছতেও দেখা যায়।
বেগম জিয়া বলেন, সন্ত্রাস নির্ভর নষ্ট রাজনীতির ধারক আওয়ামী লীগ। যে সরকার ও প্রশাসন সামাজিক উৎসবে নারীদের নিরাপত্তা দিতে জানে না, নারীদের সম্মান জানাতে পারে না তাদের ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া উচিৎ। বেগম জিয়া বলেন, দেশের পরিস্থিতি এমন যে ক্ষমতাসীন ছাড়া কারও কোন সুবিধা পাওয়ার অধিকার নেই। তার ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নাটক বলেছেন ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে আমি মর্মাহত। হতাশা প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, জানি এ হামলার বিচার হবে না। এ হামলায় ছাত্রলীগ অংশ নিয়েছে এবং এতে সহযোগিতা করেছে পুলিশ। এ হামলার ঘটনায় পক্ষপাতদূষ্ট নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রতারণামূলক। নির্বাচনী এলাকায় আবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তিনি। খালেদা বলেন, জনগণের প্রতি আস্থা থাকার কারনেই বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি সর্মথিত প্রার্থীদের হয়রানী করারও অভিযোগ আনেন বেগম জিয়া।