রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসে এক্সট্রা থ্রি বগির নিচের চাকায় পোড়া গন্ধ ও ধোঁয়া দেখা দেওয়ায় বগিটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ট্রেন যাত্রীরা জানিয়েছেন ধোঁয়া নয়, আগুনই দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর বাঘার আড়ানী রেল স্টেশনে পৌঁছানের পর এই ঘটনা ঘটে।
পরে রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল কাঁচাবাজার এলাকার আমির হোসেন নামে এক যুবক ইমার্জেন্সি চেন টানেন। এরপর ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়া হয়। এতে ট্রেনের শত শত যাত্রী বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান। এই ঘটনায় রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে পরে অতিরিক্ত বগি নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। রাতে ওই বগি লাগিয়ে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এই ঘটনায় তীব্র গরম আর ভিড়ে রাতে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহান সাধারণ যাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়ানী স্টেশনে পৌঁছানোর পর ৭৬০৩ নম্বর কোচ বা এক্সট্রা ৩ বগির চাকায় আগুন ধরে যায়। আগুনের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে হুড়োহুড়ি করে অনেক যাত্রী নেমে পড়েন। এতে আহত হন অনেকে। যাত্রী ও রেলকর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রাজশাহীর বাঘা আড়ানী রেল স্টেশনের মাস্টার ময়েন উদ্দিন আজাদ বলেন, ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকার বিয়ারিং জাম হয়ে আগুন লেগে ধোঁয়া উঠছিল। ট্রেন থামার পর তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ঘটনাটি জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসিম কুমার তালুকদারকে জানিয়ে ট্রেনের বগি পরিবর্তন করা হয়। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবদুল করিম জানান, তারা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। এরপরও দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। এটি যেকোনো সময় ঘটে যায়। তবে তারা সব সময় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকেন।