পদ্মা সেতুতে চলতে চীনে তৈরি হচ্ছে ১০০টি আধুনিক ট্রেনের কোচ। চলতি বছর ডিসেম্বরে প্রথম চালানে ৩২টি কোচ দেশে আসার প্রত্যাশা রেলের।
পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত দ্রুত এগিয়ে চলেছে ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ। তবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮১ কিলোমিটার আগামী বছরের ২৩ জুন উদ্বোধনের লক্ষ্যে কাজ করছে রেল।
ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটারে উড়াল রেলপথ আছে ১৬ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার, মেজর ব্রিজ ১৫টি আর স্টেশন নির্মাণ হবে ৪টি। এই অংশের কাজে অগ্রগতি ৬১ শতাংশ।
মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটারে উড়াল রেলপথ ৬ দশমিক ৬১ কিলোমিটার, মেজর ব্রিজ নির্মাণ হবে ১২টি। এ অংশের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। তবে নানা কারিগরি জটিলতায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল সেতুর ওপর এখনও শুরু হয়নি রেললাইন বসানোর কাজ। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে রেলট্র্যাক বসানো, যা শেষ হবে ৬ মাসের মধ্যে।
তিনি বলেন, সেতুর ওপর কাজ করার অনুমোদন আমরা হয়তো এ সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে যাব। তাহলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা সেতুর ওপরের কাজ সম্পন্ন করতে পারবো বলে আশা করি।
সেতু দিয়ে চালানোর জন্য বিশেষ ধরনের ১০০টি আধুনিক রেল কোচ তৈরিতে ইতোমধ্যে চীনের সিআরআরসি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, চীনে শুরু হয়েছে ৫ ধরনের কোচ নির্মাণ। অত্যাধুনিক স্টিলে তৈরি এসব কোচে কোনো ঝাঁকুনি থাকবে না, আর ভ্রমণ হবে আরামদায়ক।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে ৩২টি কোচ প্রথম চালানে দেশে আসবে বলে জানান আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, একটা ট্রেন পরিচালনার জন্য যতগুলো কোচ দরকার, সেগুলো আশা করি, আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে আমরা পেয়ে যাবো।
পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক প্রকল্পের কাজ সমাপ্তের মধ্য দিয়ে ট্রান্স এশিয়ান রেল যোগাযোগের পথ উন্মুক্ত হবে বলে মত রেল কর্মকর্তাদের।