বরিশাল: বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেইজ রিডার কার্যালয়।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার, দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর বিপৎসীমা ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে ঝালকাঠির বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার এবং পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/ পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া বরগুনার বিষখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালি নদীর পানি ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে পিরোজপুরের বলেস্বর নদীর পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বাংলানিউজকে জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের অনেক নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
এদিকে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বরিশাল নগরের নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানির তলিয়ে যায়। নগরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কেও নদীর পানি উঠে যায়।
নগরের ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা মইনুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে বাসার বাইরে বের হতে পারিনি। অফিসেও যেতে পারিনি। বাসার সামনে হাঁটু সমান পানি। নদীতে পানি বাড়ায় রাস্তায়ও পানি বাড়ছে।
হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল করিম বলেন, আমার বাসার সামনে দুপুরের পর থেকেই পানি ওঠা শুরু করে। সন্ধ্যার পর্যন্ত পানি নামেনি। অনেকে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। আমাদের পার্শ্ববর্তী রসূলপুর এলাকায়ও অনেক পানি উঠেছে।