টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও নিজেদের পছন্দের ফরম্যাটে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ওয়ানডের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ক্যারিবিয়দের উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা। গায়ানায় মিরাজ-নাসুমের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার পর বল হাতেও পাত্তা পেল না স্বাগতিক দল। ৯ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল তামিম ইকবালের দল। যদিও দশ উইকেটে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন অধরাই রইলো টিম
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মেহেদী মিরাজ ও নাসুম আহমেদের নৈপুণ্যে মাত্র ১০৮ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়রা। প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের বোলারদের তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল স্বাগতিকরা। তবে এবার শরিফুল নন। বরং ক্যারিবিয়দের ধ্বসিয়ে দেওয়ার কাজটা করলেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার মিরাজ ও নাসুম। মিরাজের দখলে চার এবং নাসুম নিলেন তিনটি উইকেট। এ ছাড়া শরিফুল ও মোসাদ্দেক নিয়েছেন একটি করে উইকেট। বাকি একটি রানআউট।
জবাব দিতে নেমে টাইগারদের ওপেনিং জুটি মাত্র ১২ ওভারেই ৪৮ রান তুলে ফেলে।নাজমুল শান্ত টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো সূচনা পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না। ৩৬ বলে ২ চারে ২০ রান করে গুদাকেশ মোতির শিকারে পরিণত হন এই বাঁহাতি।
শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই লিটন দ্রুত রান তুলতে থাকেন। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দ্রুতই জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যায় টাইগাররা। মাত্র ২০.৪ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। চার মেরে একই সঙ্গে দলের জয় ও ব্যক্তিগত অর্ধশতক নিশ্চিত করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এটি ওয়ানডেতে এই ড্যাশিং ওপেনারের ৫৩তম অর্ধশতক। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান তারই। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চারের মার। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২৭ বলে ৬ চারে লিটন করেন ৩২ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নেন গুদাকেশ মোতি।
এর আগে স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছিলেন তাসকিনের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক সৈকত। ইনিংসের এগারোতম ওভারে দলীয় ২৭ রানের মাথায় ভাঙে স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটি। ৩৬ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন কাইল মেয়ার্স। এরপর মাত্র ১৪ বলের ব্যবধানে তিন তিনটি উইকেট শিকার নাসুম আহমেদের।
শামারাহ ব্রুকসকে বোল্ড করে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন নাসুম। এরপর একে একে ফিরিয়েছেন শাই হোপ এবং নিকোলাস পুরানকে। ক্যারিবীয় টপ অর্ডারে রীতিমতো ধস নামিয়েছেন বাংলাদেশের এই স্পিনার।
শরিফুল ফিরিয়েছেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান রভম্যান পাওয়েলকে। ১৯ বলে ১৩ রান করে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন এই ব্যাটার। শরিফুলের পরের ওভারেই জোড়া সাফল্য। ব্রেন্ডন কিংকে মাঠের বাইরে পাঠান মিরাজ। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়েছিলেন কিং। মিস করে গিয়ে হলেন বোল্ড। ৪৪ বল খেলে ১৩ রান করে ফিরলেন তিনি। পরের বলেই রানআউটের ফাঁদে পড়েন আকিল হোসাইন। ৭২ রানে সপ্তম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরপর মিরাজের দখলে গেছে আরও আরও তিনটি উইকেট। রোমারিও শেফার্ড, আলজারি জোসেপের পর গুদাকেশ মোতিকে ফিরিয়ে উইন্ডিজ কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন তিনি।