অবশেষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের আলোচিত বুয়েট ছাত্র নিহত আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।
আজ দুপুর ২.২৫ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সিদ্ধান্ত। পাঠকদের জন্য নিচে আবরার ফয়াজের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
পরিবারের সবার মতামতের ভিত্তিতে আমি বুয়েটের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু আপনারা অনেকেই নিজেদের মতামত জানিয়েছিলেন তাই এই ব্যাপারটা আপনাদের জানানো।
সত্যি বলতে বাসার কেউই সরাসরি IUT or BUET এমন কিছু বলেনি। প্রায় সবাই ই বলেছি যেখানে আমার ইচ্ছা সেখানেই ভর্তি হতে । তাই বলা যায়, আমার ইচ্ছা অনুসারেই এখানে ভর্তি হতে চাওয়া।
তবে IUT পরিবেশ আর প্রশাসন সবকিছুই খুবই ভালো লেগেছে আমাদের। বিশেষ করে IUT Authority খুবই হেল্পফুল পেয়েছি। বুয়েট যেখানে পুরোই বিপরীত বলা যায়।
বুয়েট আর IUT তে সুযোগ পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আর একবারও ভাবিনি। কারণ সেখানে পরিবেশ খুবই নোংরা এবং রাজনীতি সবচেয়ে বেশি। আমার ভাইয়ার ইচ্ছা ছিলো এখানে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কিন্তু শেষ পর্যন্ত বুয়েটে হয়ে যাওয়ায় এখানে পড়েনি ।
একটা বিষয় আসলে পরিষ্কার করার দরকার, সবাই প্রথম থেকেই যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন যে বুয়েটে গেলে নিরাপত্তার ব্যাপারে এটা আসলে আমি কখনোই ভাবিনি। আবার ভাইয়ার কথা মনে পড়বে এজন্য মানসিকভাবে ভেঙে পড়বো এরকম কিছু নিয়েও চিন্তিত ছিলাম না আসলে। আমার ইচ্ছা আছে ভাইয়ার শের-এ বাংলা হলেও সিট পেলে থাকবো।
আপনারা অনেকেই আমাকে নিজের ছোট ভাই ভেবে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকেই অনেক কিছু বুঝানোর জন্য নিজেদের মূল্যবান সময় ব্যয় করেছেন। আমি সত্যিই আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
আর কিছু মানুষের ধন্যবাদ একটু বেশিই প্রাপ্য। তারা হলেন আমার শিক্ষকরা। সত্যি বলতে গত প্রায় ২ বছর ৯ মাসে আমি যেখানেই একদিন হলেও পড়েছি প্রত্যেকেই নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে আমাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়ে গেছে। আমি আসলে অবাক হয়ে গেছি বেশ কিছু ক্ষেত্রে যে আমাদের প্রথমবার দেখা হয়েছে কিন্তু তাদের ব্যবহারে মনে হয়েছে যেন আমরা কত পরিচিত। আর পড়ালেখার বিষয়ে তাদের অবদান তো ছিলই। এমনকি সাব্জেক্ট পছন্দের ক্ষেত্রেও তারা অনেক সাহায্য করেছেন। আল্লাহ তাদের প্রত্যেককেই ভালো, সুস্থ রাখুক এটাই চাই সবসময়।