প্রেম করার জের ধরে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় রিয়াদ উদ্দিন শাকিল নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে প্রেমিকার পরিবার। এমন ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ নুরুল আমিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
পরে রোববার (১০ জুলাই) রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৮-১০ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এর আগে শনিবার (৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার হাতিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত নুরুল আমিন হাতিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী শাকিলও একই এলাকার বাসিন্দা এবং হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। এদিকে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ১ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, শাকিলকে গাছের সঙ্গ বেঁধে নির্যাতন করেছেন কয়েকজন। এ সময় শাকিল নিজেকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও তার নিশ্চিত করে শাকিল বলেন, তিনি ও একই এলাকার শরিফের বোন দ্বীপ কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তার সুবাধে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে শরিফ তাকে একাধিকবার হত্যার হুমকি দেয়। তারই জের ধরে শনিবার রাতে স্থানীয় ওছখালি বাজারে বাবার দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে শরিফের ৫-৬ জন লোক তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। নিয়ে গিয়ে তাকে বেদম মারধর করে।
পরে একটি বাগানে গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তারা বলে এ ঘটনা কারো কাছে বললে তারা তার বোনকে হত্যা করে তাকে ফাঁসিয়ে দেবে। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চিৎকার দিলে এলাকার অনেক লোক এসে ভিড় করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায় এবং পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নুরুল আমিন মামলার প্রধান আসামি শরিফের বাবা। ঘটনায় জড়িতদের সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।