আগামীকাল ঈদ। প্রিয়জনদের সাথে দিনটি কাটাতে সড়কে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পদ্মা সেতু দিয়ে যারা দক্ষিণবঙ্গে যাচ্ছেন তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও উত্তরের মানুষের কষ্টের শেষ নেই। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের সড়কে যানজটের পাশাপাশি ট্রেনেও ভোগান্তিও পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। ১০ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে দ্রুতযান এক্সপ্রেস আর ১২ ঘণ্টা পর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস।
উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের অভিযোগ, চট্টগ্রাম-সিলেটের ট্রেন দ্রুত চলে গেলেও আমাদের কপালে রয়েছে ভোগান্তি। রাত ১০টার আগে স্টেশনে এসে সারারাত বসে কাটিয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। স্টেশনমাস্টার প্রথম বলেছিলেন সকাল ৬টায়, তারপর ৯টায়, কিন্তু ৯টার পরও ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ আসেনি।
ট্রেনটি প্রতিদিন রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে গেলেও শুক্রবার ওই ট্রেন ঢাকাতেই আসেনি। শনিবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টার পর কমলাপুর রেলস্টেশনে আসে ট্রেনটি। শেষে বেলা পৌনে ১১টায় কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। ১২ ঘণ্টার অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের হাজারো যাত্রীর।
একই অবস্থা ছিল দ্রুতযান এক্সপ্রেসেরও। ১০ ঘণ্টা পর ছেড়েছে ট্রেনটি। রাত ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও আজ সকাল ৬টায় ছেড়েছে দ্রুতযান এক্সপ্রেস।
এরপর ‘একতা এক্সপ্রেস’ সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ঢাকাতেই আসে সকাল সাড়ে ১০টায়।
তিন বছর আগে দেশের দীর্ঘতম পঞ্চগড়-ঢাকা রেলপথে চালু হয় বিরতিহীন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’। উদ্বোধনের দিন স্থানীয়দের ব্যাপক উল্লাস করতে দেখা গেলেও তিন বছর পর এসে ঈদযাত্রায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, রাত পৌনে ১১টার ট্রেন সকাল ১০টায় না আসলে ঈদের নামাজ পড়বো কীভাবে। আমাদের ওই স্টেশনে পৌঁছাতেই ১২ ঘণ্টা সময় লাগে।
তারা অভিযোগ করেন, নয় শ’ টাকার টিকিট দুই হাজার টাকায় কেটেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে পরিবারের আটজন সদস্য নিয়ে রাত কাটাতে হয়েছে কমলাপুর স্টেশনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, বাসে গেলে হানিফ পরিবহনে আড়াই হাজার টাকা লাগে। আর বিমানে গেলে তো আট থেকে ১০ হাজার টাকা। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই খরচ মেটাবো। যানজটের কারণে বাসে যাইনি। কিন্তু ট্রেনের শিডিউল কী অবস্থা হলো!