সাদিক ইভান: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা সামাজিক পরিমন্ডলে হ্যাপি একটি মুখরোচক প্রসঙ্গ । হ্যাপির সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের তারকা ইমেজ কাজে লাগিয়ে নিজে ফোকাসে এসেছেন । যিনি নিজেকে চিত্র নায়িকা বলে দাবি করেন, তবে একটি টিভি সাক্ষাতকারে চলচিত্রের গুণী ব্যাক্তিত্ব মিসা সওদাগর এর দাঁত ভাঙা জবাব দিয়েছেন হ্যাপিকে । তবে হ্যাপি একটি সিনেমায় অভিনয় করলেও সিনেমাটির সেন্সর বাতিল করা হয় । সিনেমাটিতে হ্যাপিকে দেখা গেছে চরম যৌন উত্তেজক, আগ্রাসী এবং অশ্লীল এক মনোভাবে । এবার যাওয়া যাক ভিন্ন প্রসঙ্গে, রুবেল কে প্রেমের ফাঁদে ফেলতে গিয়ে হ্যাপি নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছেন । ফাঁস হয়েছে তার যত্তসব কুকির্তী ।
জানা গেছে, হ্যাপির সাথে ১২ জন পুরুষের শারীরিক সম্পর্কের কথা ফরেনসিক রিপোর্টে উঠে এসেছে । এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ চলচিত্র নির্মাতা জানান : ওই মেয়ে (হ্যাপি) একটা নষ্টা, দুষ্চরিত্রা স্বভাবের । ওর সুন্দর চেহারার আড়ালে এক প্রকার পতিতার রুপ বিরাজ করে । কাজের অফার দিলে যে কারো সাথে রাত কাটাতে দ্বিধাবোধ করে না । মানুষের সাথে যৌন কর্মে লিপ্ত হওয়া ওর মত মেয়ের কাছে, ছেলে খেলার সামীল । এইসব মেয়েদের জন্য নবীনরা এই অঙ্গন কে নেগেটিভ ভাবে দেখে । আসল কথা হচ্ছে হ্যাপি নায়িকা নামধারী পতিতা । এসব মেয়েদের শিক্ষা হওয়া উচিৎ । হ্যাপির একজন ঘনিষ্ট পরিজন জানায়, হ্যাপির কুকর্মের জন্য আমরা লজ্জায় একপ্রকার মুখ দেখাতে পারি না । মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে নাকি জ্ঞান বুদ্ধি হয় কিন্তু হ্যাপির হচ্ছে উল্টোটা । আমরা একে নিয়ে মানসিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হব । হ্যাপি ফোকাসে থাকার জন্য নিজের ফেসবুক একাউন্টে উদ্ভট সব স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছে কখনও লিখছে আত্মহত্যা করবে, কখনও প্রেম করছে, কখনও কাজে মনযোগী হচ্ছে, কখনও নিজের বিয়ের কথা লিখেও পরে ফান বলে উড়িয়ে দিচ্ছে । এটা হ্যাপির ব্যাক্তিগত ব্যাপার । তবে এর সাথে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে অনলাইন নিউজ পেপার গুলো । গুটি কয়েক অনলাইন নিউজ পেপার তরুণ দের দূর্বলতা কে হাতিয়ার করে, ব্যাবসায়িক স্বার্থে, অশ্লীল এক চরিত্র কে বার বার উপস্থাপন করছে । তবে চাক্ষুশ একটি বিষয় হলো যে নির্বাসিত, বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ছাড়া, সাধারণ থেকে শুরু করে তারকা বনের কেউ, আজো পর্যন্ত হ্যাপির পক্ষে কোনো সমর্থন দেয়নি । তবে তসলিমার এই সমর্থন, হ্যাপি – তসলিমা কে, কি একই শ্রেণির নির্দেশ করে না ? উল্লেখ্য গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর হ্যাপি বাংলাদেশ ক্রিক্রেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন ।
মামলায় রুবেল হোসেনের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা । আদালত সূত্রে এ কথা জানা যায়। গত ১৯ মার্চ এ প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক হালিমা খাতুন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার বাদী হ্যাপিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হলে তিন সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড জানায়, সম্প্রতি হ্যাপির শরীরে কোথাও জোরপূর্বক ধর্ষণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হ্যাপির দাবি অনুযায়ী রুবেলের পরিহিত জার্সি, পাপোশ এবং নাইটি পরীক্ষা করে তাতেও রুবেলের কোনো শুক্রাণু পাওয়া যায়নি বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হ্যাপি একজন প্রাপ্তবয়স্ক, মিডিয়ায় কাজ করা সচেতন ও আধুনিক নারী। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও বিয়ের সম্পর্ক ছাড়া যদি তিনি রুবেলের সঙ্গে মেলামেশা করে থাকেন সেটা তার সম্মতিতেই হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু বাদীর অভিযোগ মতে সেটা ধর্ষণের সংজ্ঞায় পড়ে না। তাছাড়া হ্যাপি তার বক্তব্যের সমর্থনে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেননি বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বাদী (হ্যাপি) রুবেলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের যে অভিযোগ করেছেন তা ঠিক নয় বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিবেদনের শেষ দিকে বলা হয়েছে, সার্বিক তদন্ত, সাক্ষ্য, ডাক্তারি রিপোর্ট, রাসায়নিক পরীক্ষার ফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়- রুবেলের বিরুদ্ধে হ্যাপির অভিযোগ সঠিক নয়। এজন্য তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে রুবেলের অব্যাহতি প্রার্থনা করেছেন । রুবেল ভক্তদের দাবি, রুবেল বাংলাদেশের সুনাম শতগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে । বিশ্বকাপে আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের স্বীকার হয়ে বাংলাদেশ একটি মহলের কাছে শুধু জয় পায়নি তাছাড়া বিশ্ববাসীর মন জয় করেছে । যার নেপথ্যে রুবেল নামের এই ক্রিক্রেট যোদ্ধার প্রসংশা অনস্বীকার্য । যার পারফমেন্সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিভূত, স্বয়ং প্রধাণমন্ত্রী রুবেল কে আইনি সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছিলো সংস্লিষ্ট দের । আন্তরিক অভিনন্দন জানাই আমাদের গর্বিত এই নেত্রী কে । হ্যাপি মামলায় কোনো সাক্ষী প্রমাণ দেখাতে পারে নি, রুবেল কে হয়রানি করার জন্য, বিভ্রান্ত করার জন্য এ মামলা করেছে । বিশ্বকাপ দরবারে যখন রুবেল বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম রক্ষায় নিজের আত্মত্যাগে মগ্ন । ঠিক তখন হ্যাপি নানা তালবাহানা মূলক স্ট্যাটাস দেয়, সুইসাডের হুমকি ও পর্যন্ত দেয় । যা নিয়ে মেতে ছিলো অনলাইনের গুটি কয়েক নিউজপেপার, রুবেল কে হেয় প্রতিপন্ন করে, যারা খবর প্রচার করেছে । যাদের উদ্যেশ্য ছিলো রুবেলের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটিয়ে বাংলাদেশের পরাজয় । রুবেল ভক্তরা এক পর্যায়ে দাবি করেন : আমরা পতিতা হ্যাপি এবং ঐ অনলাইন নিউজ পেপার গুলোর সংশ্লিষ্টদের দেশদ্রোহিতার জন্য মাননীয় প্রধাণ মন্ত্রীর কাছে এদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলায় দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই । বাংলার মাটিতে কোন দেশদ্রোহীর ঠাই হবে না ।